ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর [১৮২০-১৮৯১] লেখক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মা ভগবতী দাস। ঈশ্বরচন্দ্র ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী।

তিনি ১৮৩৯ সালের মধ্যেই বিদ্যাসাগর উপাধি অর্জন করেন। সংস্কৃত কলেজের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ এবং বাংলা ও বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পাঠ্যবই রচনা।

তার ‘বর্ণপরিচয়’ (১৮৫১) প্রকাশের আগ পর্যন্ত শিশু শ্রেণিতে এ ধরনের কোনো আদর্শ পাঠ্যপুস্তক ছিল না। ১৫০ বছর পর এখনো তার ওই বই মুদ্রিত হচ্ছে। বর্ণপরিচয়ের মতো সমান সাফল্য লাভ করেছিল ‘বোধোদয় (১৮৫১)’, ‘কথামালা (১৮৫৬)’, ‘চরিতাবলী (১৮৫৬)’ ও ‘জীবনচরিত (১৮৫৯)’।

সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা ও বর্ণপরিচয়ের মতো বই এর আগে বাংলা ভাষায় ছিল না। ব্যাকরণ নিয়ে চার খ-ে লিখিত ব্যাকরণ-কৌমুদীও তার ঐতিহাসিক অবদান। এ ছাড়া তিনি হিন্দি থেকে ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’, সংস্কৃৃত থেকে ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’, ‘মহাভারতের উপক্রমণিকা’ এবং ইংরেজি থেকে ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’, ‘জীবনচরিত’ প্রভৃতি গ্রন্থ অনুবাদ করেন।

মানবিকতা ও দানশীলতার জন্য তিনি করুণাসাগর নামে পরিচিতি পান। তাকে এ নামে প্রথম ডেকেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। এ ছাড়া মাতৃভক্তি ছিল তার চরিত্রের অন্যতম গুণ। বিদ্যাসাগরের সংস্কার আন্দোলন ও মুক্তচেতনার নেপথ্যে মা ভগবতী দেবী বিশেষ প্রেরণা ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

মায়ের নির্দেশে তিনি বিদ্যালয় ও অবৈতনিক ছাত্রাবাস গড়ে তুলেছিলেন। তার বিধবাবিবাহ প্রবর্তনেও মায়ের বিশেষ অবদান ছিল। বাংলার নবজাগরণের অন্যতম এই পুরোধাব্যক্তিত্ব ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই তার কলকাতার বাসভবনে প্রয়াত হন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031499862670898