উগান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এমপন্ডওয়েতে একটি স্কুলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আফ্রিকা নিউজ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনির প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা জো ওয়ালুসিম্বি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযাযী, নিহতরা সবাই স্কুলের ছাত্র। এ ছাড়া কিছু লাশ এমনভাবে পুড়েছে যে শনাক্ত করা যাচ্ছে না’। কর্তৃপক্ষ হামলার শিকার এবং অপহৃতদের সংখ্যা যাচাই করার চেষ্টা করছে। সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এমপন্ডওয়ে শহরের মেয়র সেলভেস্ট মাপোজে গতকাল শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহতদের মধ্যে একজন প্রহরী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের দুই সদস্য রয়েছেন।
মাপোজে বলেন, বিদ্রোহীরা ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার সময় কিছু ছাত্র মারাত্মক দগ্ধ হন। অন্যদের গুলি করে বা কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টায় কঙ্গো সীমান্তের কাছে কাসেস জেলার ওই স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। হামলার পর উগান্ডার সেনাবাহিনী জঙ্গিদের তাড়া করে। তবে জঙ্গিরা কয়েকজনকে অপহরণ করে নিয়ে কঙ্গোতে পালিয়ে যায়।
পুলিশ এই হামলার জন্য অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) দায়ী করেছে। যা ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলভিত্তিক উগান্ডার একটি উগ্রবাদি গোষ্ঠী। তারা ইসলামিক স্টেট এর উগ্রবাদে আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মরদেহ ও আহতদের বেভেরা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনাঙ্গা বলেছেন, ডিআর কঙ্গো সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে উগান্ডার কাসেজে অবস্থিত ব্যক্তিগত মালিকানাধীন স্কুলে হামলায় ‘একটি ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং খাদ্য সংরক্ষণাগার লুট করা হয়েছে’।
এনাঙ্গা বলেন, সেনা ও পুলিশের দলগুলো আক্রমণকারীদের ধাওয়া করেছিল। কিন্তু তারা সীমান্তের বীরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের দিক দিয়ে ডিআর কঙ্গোতে পালিয়ে গেছে।
উগান্ডার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিআর কঙ্গোর অভ্যন্তরে উগান্ডার সেনারা ‘অপহৃতদের উদ্ধার করতে শত্রুদের তাড়া করছে’।
কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্বে থাকা পশ্চিম উগান্ডার সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল ডিক ওলুম বলেছেন, হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে হামলার দুই দিন আগে শহরে অবস্থান নিয়েছিলো।