যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও সহযোগিতা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট সায়েন্সেস বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. অ্যালেক্স ওয়েবের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল।
গতকাল বৃহষ্পতিবার রাতে অনালাইনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ড. অ্যালেক্স শিক্ষা, গবেষণা, স্কলারশিপ, ফান্ডিংসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
ড. অ্যালেক্স বলেন, যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজসহ অন্যান্য নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বেশ চ্যালেঞ্জিং, সবচেয়ে ট্যালেন্টেড শিক্ষার্থীদের এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে পিএইচডি বা পোস্টডক করতে হলে বিশ্বের টপ ইউনিভার্সিটির বাইরে থেকে আগে মাস্টার্স সম্পন্ন করলে সুবিধা হবে।
সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিষয়ে তিনি বলেন, পাবিপ্রবিসহ বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক করতে চাইলে, সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স) সঙ্গে এখানকার কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করতে হবে। সে অনুযায়ী তারা দিকনির্দেশনা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলবে।
গবেষণা ফান্ডিংয়ের বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে যখন যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যায়, তখন উচ্চশিক্ষায় ইইউ’র ফান্ডিং যুক্তরাজ্যে কমে যায়। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন সেই ফান্ডিং সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশগুলোকে দিতে থাকে। ব্রিটিশ সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিবিআরসি’ যারা উচ্চশিক্ষায় ফান্ড দিয়ে থাকে। ফান্ডিং পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকার ‘বিবিআরসি’র সাথে যোগাযোগ করলে ফান্ডিং পেতে পারে।
ড. অ্যালেক্স আরো বলেন, তোমরা (বাংলাদেশ) এখন একটি ট্রানজিশনাল পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ। যা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির সাথে সামঞ্জস্য আছে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণা, ফান্ডিং, টেকসই পলিসি’সহ নানা পদক্ষেপ তারা নিয়েছে। তোমরাও যদি চিলির পলিসিগুলো বিশ্লেষণ করে আগাতে পারো, তাহলে উচ্চশিক্ষায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।