যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাতে এই সহযোগিতা দেয়া হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি সেকশনের কর্মকর্তারা এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বুধবার ইউজিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া অংশ নেন। অপরদিকে, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি, ডেপুটি ডিরেক্টর ব্রেন ফ্লানিগান এবং পাবলিক এ্যনগেইজমেন্ট স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
সভায়, স্টিফেন ইবেলি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে উচ্চতর প্রশিক্ষণ, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করায় প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি, তরুণ প্রজন্ম এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ সুবিধাসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ আরও বৃদ্ধি করতে প্রতিনিধি দলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি এসব শিক্ষার্থীদেরকে দেশে ফিরে এসে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সভায় প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলস ও ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রফেসর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কোটা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ সুবিধাসহ তাদের পেশাগত দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।
এছাড়া, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষায় নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, শিক্ষা বৃত্তি, টিউশন ফি কমানো, ই-লাইব্রেরি ব্যবহার, মানবাধিকার সুরক্ষা ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত ডায়ালগ আয়োজন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।