উন্নত গণতান্ত্রিক বিশ্বের গণমাধ্যম প্রথম আলোর মতো এমন সংবাদ পরিবেশন করলে সেই গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিশ্বে যারা আজকে বিবৃতিতে দিচ্ছেন, উন্নত গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো দেশে এমন চাইল্ড এক্সপ্লোটেশন (স্বার্থ হাসিলে অপব্যবহার) হলে কি হতো? সেই গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শিশুর হাতে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে এমন কথা, পরে বললেন ভুল! ভুল হলে, ভুলের জন্য এমন দুঃখ প্রকাশ কেউ করেছে? এমন ভুলের জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? তারা বলছে তারাই ঠিক, অহংকারে বুদ হয়ে তারা নিজেদের বক্তব্যে সমর্থন করে যাচ্ছে। যখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে বিদেশিরা প্রশংসা করছে তখন এখানে সমালোচনা চলছে, আমাদের এখানে বাংলাদেশের অর্জন এত ছোট কেনো?
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারর্সের বিবৃতির বিষয়টি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দেশে যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটতো, এর কি কোনো বিচার হতো না? শাস্তি হতো না? একটি বাচ্চাকে ব্ল্যাকমেইল করা হলো। স্বাধীনতা দিবসে একটি বাচ্চাকে ব্যবহার করে দিনমজুরের নামে একটা উদ্ধৃতি দিয়ে যে জঘন্য অপরাধ তারা করেছে, তাদের সেই অপরাধের শাস্তি তাদের পাওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, ফখরুল সাহেবরা সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য মায়াকান্না করেন। এদেশের অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার হোতা হচ্ছেন তারা (বিএনপি)। সংবাদপত্রের অষ্টম ওয়েজ বোর্ড, কল্যাণ ট্রাস্টসহ যা কিছু করেছেন, সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবার গণঅভ্যুত্থানের হুংকার দিচ্ছে। অথচ তাদের সমাবেশে ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের উপস্থিতি হয়েছে। রোজার দিনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে বিএনপি। জনগণ যে আন্দোলনে থাকে না, সেখানে গণঅভ্যুত্থান হয় না। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। পথ হারিয়ে পদযাত্রা-মানববন্ধনে পরিণত হয়েছে তাদের কর্মসূচি। তাদের গণঅভ্যুত্থান আর দাঁড়াতে পারবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতে সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বক্তব্য রাখেন। এর আগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।