দণ্ডিত মেনজিসের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য নেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখায়। সব তথ্যই গায়েব। পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিলো মেনজিসের। প্রশ্নফাঁস চক্রের শেকড় সন্ধান করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ মোট আট দিন মেনজিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো। টানা সাত বছর সাভারের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার থাকাকালে মেনজিস গড়ে তোলে প্রশ্নফাঁস, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সেন্টার বাণিজ্য, ফরম পূরণের বাণিজ্য, কিন্ডারগার্টেনে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বাণিজ্য। এসব অভিযোগে মেনজিসকে বরখাস্ত করার সুপারিশ ছিলো। কিন্তু জোর তদবির করে ভৈরবে বদলি হয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন সৈয়দ শাহরিয়ার মেনজিস। সব তথ্যই দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দণ্ডিত হওয়ার তথ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখায় ছিলো। কিন্তু সব তথ্য গোপণ করে গত ১৮ জুলাই গাজীপুর সদরে প্রাইজ পোস্টিং নিয়েছেন মেনজিস। টাকার খেলায় সবই সম্ভব হয়।
সাভার হোক আর ভৈরবই হোক, মাসের বেশিরভাগ সময় মেনজিসকে পাওয়া যায় শিক্ষা ভবনে আর ধানমণ্ডিতে। একই খানায় পাওয়া যায় লাবু ও তালেব নামের অপর দুইজন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এই লাবু বিভিন্ন পরিচয়ে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রাইজ পোস্টিং নিয়েই আছেন। গত ১৮ বছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের কেউ তাকে জিজ্ঞেস করেনি অফিস সময়ে ডিজি অফিসে কেন? ছুটি নিয়ে এসেছেন কি-না? তবে, নব নিযুক্ত উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস সম্প্রতি লাবুকে জিজ্ঞেস করেছেন, ‘অফিসে সময়ে ডিজি অফিসে কেন? ছুটি নিয়েছেন কি-না? ‘ এই দুই প্রশ্ন শুনে ভো দৌড় লাবু। জানা যায়, টাকার বিনিময়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারী বদলি সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রধান লাবু গিয়েছিলেন ‘ভাব’ জমাতে।
জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণে একজনকে বদলি করার দায়িত্ব নিয়েছে এই সিন্ডিকেট। গত ১৮ জুলাই জারি হওয়া ২৪ জনের বদলির আদেশে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা লেনদেন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।