৮ দফা দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলার পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকালে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গেস্ট হাউজে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি–দাওয়া পেশ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টাকে জানায়, তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি সংঘাতহীন বৈষম্যহীন এলাকা হিসেবে দেখতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামকে কীভাবে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণ, সংঘাত, বৈষম্যহীন করা যায় সে প্রত্যাশার কথা জানায় শিক্ষার্থীরা।
সাক্ষাতের সময় শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ১% কোটা বাতিল করে ৫% কোটা পুনর্বহাল, এছাড়াও তারা পাহাড়ের বৈষম্যমুক্ত পরিবেশ, পাহাড়ে ভূমি সমস্যা নিরসন, সবার গ্রহণযোগ্য নিষ্ঠাবান শিক্ষিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে গঠন করে শক্তিশালী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রামকে যেন পানিশমেন্ট জোন হিসেবে ব্যবহার না করা, সততার সাথে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়াসহ ৮ দফা দাবি জানায়।
দাবিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা শিক্ষার্থী সমন্বয়কদের একজন কিকো দেওয়ান বলেন, ‘কোটা সংস্কার করতে গিয়ে আদিবাসীদের কোটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১% কোটার রায় দিয়ে আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে।’
কিকো দেওয়ান আরও বলেন, ‘সারা দেশে ৫০টির অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী আছে। এ ১ % কোটা কাকে দিয়ে পূরণ করা হবে? ১০০ জন নিয়োগ হলে তো ১ জন পাবে। সেটা কাকে দেওয়া হবে? পাহাড়ে ১৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী আছে এ থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরারা একটু এগিয়ে। তাহলে অন্য পিছিয়ে থাকা আদিবাসী জনগোষ্ঠী আরও পিছিয়ে পড়বে। এ ১% কোটা যৌক্তিক নয়। সেজন্য আমরা ৫% কোটা সংরক্ষণের দাবি করছি। এছাড়াও বাকি দাবিগুলো যৌক্তিক দাবি। পাহাড়ের আদিবাসীদের দুঃখ কেউ বোঝার চেষ্টা করছে না। আমাদের দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি পালন করে যাব।’
প্রসঙ্গত, উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করা সমন্বয়কদের নেতৃত্বে পার্বত্য এলাকায় একযোগে গ্রাফিতি অংকনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে দুর্নীতি, সংঘাত, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়ে আসছিল।