সাত কলেজ সংষ্কার কমিশন বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবিতে আগামী রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আবারো সায়েন্সল্যাব মোড়ে শান্তিপূর্ণ ব্লকেড এবং অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তবে শনিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত তিনদিন কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
এসময়ে প্রতিটি কলেজে বিভাগভিত্তিক অনলাইন আলোচনা সভা করবেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩০ আক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টায় সাইন্সল্যাব মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল ১১টা থেকে তারা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে করে ঢাকা দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি আব্দুর রহমান বলেন, বৈষম্য দূর করে সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা একমাত্র সমাধান। আমরা আমলাতান্ত্রিক কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দাবি শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষা প্রতিনিধির সম্বন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করবেন এই প্রত্যাশা রাখছি।
শিক্ষা উপদেষ্টার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনি একজন শিক্ষাবিদ। আপনি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে মূল্যায়ন করবেন। দীর্ঘ সাত বছরের বৈষম্য দূর করবেন। এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি পূরণ করে দেবেন।
দুপুরে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সমস্যা নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা মোট তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। দাবিগুলো হচ্ছে —
১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।
২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবে।
৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।