উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার নিয়ে সংকটে ইসি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পর থেকে প্রায় সব নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। কুমিল্লা সিটিসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ব্যবহারও করেছে ইসি। কিন্তু বিএনপির পদত্যাগ করা পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

ইসি বলছে, আসন্ন এই উপনির্বাচনগুলোতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য বাজেট নেই। তবে সংস্থাটির কমিশন সভায় এ ব্যাপারে আরও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

  

মো. আলমগীর বলেন, ‘পাঁচ আসনের সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বাজেট নেই। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা কোনো সল্যুশন নয়। অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না, অথচ কোনো অঘটন ঘটেনি। পাঁচ আসনের ভোট প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে। এতে ব্যালান্স থাকবে। ফলে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন পড়বে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরার জন্য রাজস্ব খাত থেকে অর্থ বরাদ্দ দিতে হয়। তবে নির্বাচনের জন্য অনেক সময় আছে। প্রয়োজন হলে কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলো হলো ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৫ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৫ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।

রায় দেখে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত

গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি মো. আলমগীর জানান, আদালতের রায় দেখে সে অনুযায়ী ‘তৃণমূল বিএনপি’কে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন দল তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মো. আলমগীর বলেন, ‘কমিশন রায় মানতেও পারে আবার রিভিউও করতে পারে। আমরা রিভিউ আবেদন দেখতে পারি। আদালতের আদেশ না দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আইন যেভাবে আছে, সেভাবে কাজ করবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051889419555664