উপহার দিলেই এমপিওভুক্তি!

মিথিলা মুক্তা, দৈনিক আমাদের বার্তা |

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা দামি উপহার দিলেই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দেবেন- এমন মিথ্যা আশ্বাসে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। তবে এই প্রতরণার ঘটনা এই নতুন নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েক দফা এমন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ার নজির রয়েছে। 

এবার এই প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে এবার সর্তক বার্তা দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এ অধিদপ্তরের কোনো কাজে কাউকে টাকা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধানের ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকা বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কাজ হওয়ার সুযোগ নেই।

এ ছাড়াও টাকা চাওয়া ফোন নম্বরগুলো চিহ্নিত করে অধিদপ্তরের জানানোর জন্য বলা হয়েছে। জানা যায়, বিভিন্ন প্রকার প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি সরাসরি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এর অধীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তার বদলি, এমপিওভুক্তিকরণ, উচ্চতর স্কেল, পদোন্নতি, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শিটে নাম, পদবি, জন্ম তারিখ সংশোধন, বকেয়া আদায়, প্রশিক্ষণে শিক্ষক- কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস বা প্রলোভন দেখিয়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ফোন, ইমেইল, এসএমএস করে বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। 

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। এ অধিদপ্তরের কোনো কাজে কাউকে টাকা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধানের ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকা বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কাজ হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়াও অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সব ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ফোন করে টাকা দাবি করা ফোন নম্বরগুলো চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা ভুক্তভোগী ব্যক্তি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। 

তবে এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ আগস্ট মাউশি অধিদপ্তর এই একই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানেও এ ধরনের ঘটনা সর্ম্পকে সতর্ক করা হয়। 

এ ছাড়াও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর মাউশি অধিদপ্তর সতর্কবার্তা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় কোনো ধরনের প্রলোভনের ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হলো। কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা টাকা চাইলেই বুঝবেন, এটা প্রতারণা। এ ধরনের প্রতারকের ফোন নম্বর থানায় এবং প্রতারকদের পুলিশে সোপর্দ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025019645690918