উপহার দিলেই শিক্ষক-কর্মচারীদের পদোন্নতি, মাদরাসা অধিদপ্তরের সতর্কতা জারি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দাবি করা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা দামি উপহার দিলেই শিক্ষক-কর্মচারীদের পদোন্নতি, এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দেবেন-এমন মিথ্যা আশ্বাসে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। এই প্রতরণার ঘটনা এই নতুন নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েক দফা এমন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ার নজির রয়েছে। 

তবে এবার এই প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সর্তক বার্তা দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এ অধিদপ্তরের কোনো কাজে কাউকে টাকা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধানের ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকা বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কাজ হওয়ার সুযোগ নেই।

এ ছাড়াও টাকা চাওয়া ফোন নম্বরগুলো চিহ্নিত করে অধিদপ্তরের জানানোর জন্য বলা হয়েছে। 

জানা যায়, বিভিন্ন প্রকার প্রতারক চক্র-ব্যক্তি সরাসরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এমপিওভুক্তিকরণ, এমপিওভুক্ত মাদরাসায় বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, উচ্চতর স্কেল, পদোন্নতি, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিওশিটে নাম, পদবি, জন্ম-তারিখ সংশোধন, বকেয়া প্রদান, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স প্রদান, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস-প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসায় ফোন, ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এসএমএস, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। 
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কর্মকর্তার ছবি ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বক্তব্য হলো, এ অধিদপ্তরের কোনো কাজে কাউকে টাকা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়াও অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যেসব ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ফোন করে টাকা দাবি করা ফোন নম্বরগুলো চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা ভুক্তভোগী ব্যক্তি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। 

তবে এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ আগস্ট মাউশি অধিদপ্তর এই একই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানেও এ ধরনের ঘটনা সর্ম্পকে সতর্ক করা হয়। 

এ ছাড়াও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর মাউশি অধিদপ্তর সতর্কবার্তা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় কোনো ধরনের প্রলোভনের ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হলো। কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা টাকা চাইলেই বুঝবেন, এটা প্রতারণা। এ ধরনের প্রতারকের ফোন নম্বর থানায় এবং প্রতারকদের পুলিশে সোপর্দ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিওভুক্তির নতুন আদেশ জারি - dainik shiksha এমপিওভুক্তির নতুন আদেশ জারি জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি কুবির বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন - dainik shiksha কুবির বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি - dainik shiksha ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031499862670898