উপাচার্যদের বিতর্কিত কাজে আইনি পদক্ষেপ নিন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

উপাচার্য পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে সুষ্ঠুভাবে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালাতে পারেন। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, পদে আসীন হওয়ার পর অনেক উপাচার্যই আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারী কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষকদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। উপাচার্যদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রোববার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা জানা যায়। 

সম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো পরিস্থিতি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সামাল দিতে হয়। সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হয়। এর ব্যত্যয় হলে বিরূপ পরিস্থিতি ধারণ করে। ছোট একটি ইস্যুতেও তাৎক্ষণিক যথাযথ সিদ্ধান্ত না নিলে তা বড় আন্দোলনে রূপ নেয়।

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক স্পর্শকাতর। শিক্ষার্থীদের বয়সটাও বুঝতে হবে প্রশাসনকে। ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করতে হবে যথাযথভাবে। পক্ষপাত করা যাবে না। ছাত্ররা কখনো কখনো রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে ঝুঁকে পড়ে। ক্যাম্পাসের বাস্তবতা তাদের অবস্থানের সঙ্গে না-ও মিলতে পারে। 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্ষমতাসীন সরকার তাদের আস্থাভাজন শিক্ষককেই উপাচার্য নিয়োগ দেন। কিন্তু উপাচার্যের চেয়ারে বসার পর শিক্ষকের চরিত্রে দলীয় বহিঃপ্রকাশ প্রত্যাশিত নয়। দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে উপাচার্যকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একজন উপাচার্য হবেন সবার উপাচার্য। সরকারের পক্ষ থেকে উপাচার্যের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এমন কোনো প্রমাণ নেই। অনেকাংশে উপাচার্যরাই সরকারের তোষামোদে ব্যস্ত থাকেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ রক্ষা করতে পারলেই সরকারের জন্য মঙ্গল হয়। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ কোনোভাবেই কাম্য নয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের বুঝতে হবে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনিয়ম ও দুর্নীতি বহু বছর ধরেই চলে আসছে। তার পরও অনেক অভিযোগই কর্তৃপক্ষ আমলে নেন না। তদন্ত হলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এর পুনরাবৃত্তি কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026741027832031