রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন। শুক্রবার দুপুর অনশন শুরুর প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব জানান, পোষ্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ শনিবার রিভিউ কমিটি বসবে। তারা পর্যালোচনা করে এটি পরিবর্তন করবেন।
এ সময় একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আপাতত এটা স্থগিত করছি। আজকের মধ্যে যদি সিদ্ধান্ত না আসে, আমাদের দাবির সঠিক প্রতিফলন যদি না ঘটে তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। এছাড়া রিভিউ কমিটিতে যদি কোনো ফ্যাসিস্টের দোসর থাকে, তাদের কে আমরা চিনি। কীভাবে তাদের বিদায় করতে হয় সে পথ আমাদের জানা আছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
অনশনে বসা মেহেদী মারুফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের দাবি ছিলো কোটার বিরুদ্ধে। সেখানে এই কোটাই যদি থেকে যায়, তাহলে চব্বিশের বিপ্লবীদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। অবিলম্বে এই পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলতে থাকবে।
অনশনে বসা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে পোষ্য কোটা বাতিলেন দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবি রাখা হয়নি। তারা কী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী? যদি তাই না হয়, তাহলে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা আমরা দেখছি না। প্রশাসন আজ পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ রেখেছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিল হবে। নাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার ভর্তি কমিটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে, এই কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিবেচনা করা হবে। পোষ্য কোটা বহাল রেখে ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ রাখা হয়েছে। এছাড়া, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও খেলোয়াড় কোটার ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।