উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বেরোবি শিক্ষকদের

বেরোবি প্রতিনিধি |

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)  অধিকার সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহ্বায়ক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান। 

সংবাদ সম্মেলনে রেরোবি শিক্ষকরা | ছবি : সংগৃহীত

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আচার্য ও রাষ্ট্রপতির দেয়া নিয়োগের শর্ত লঙ্ঘন করে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ক্যাম্পাসে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকছেন। তিনি নিজেই অবৈধভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

‘কোষাধ্যক্ষ ও ড. ওয়াজেদ টেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদেও রয়েছেন তিনি। তিনি অনুপস্থিত থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি একাই অর্ধ-শতাধিক কোর্স পড়ানোর জন্য দায়িত্ব নিলেও কোনো কোর্সেই তিনি পড়ান না। কিন্তু কোর্স পড়ানো বাবদ লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করছেন। অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের ধারাবাহিক মূল্যায়ন কোর্সের পরীক্ষা গ্রহণ করান কর্মচারীদের মাধ্যমে।’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি এবং এমফিল পর্যায়ে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ একটি সেশনেই ১৪ জনের তত্ত্বাবধায়ক হয়েছেন। চলতি সেশনে আরও ১৪ জনকে নিয়ে থাকলে সংখ্যা প্রায় ২৮ জন হবে। 

বাংলাদেশে এককভাবে এতজন গবেষককে একই সঙ্গে গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কারও থাকার নজির নেই। অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়েলর আইন লঙ্ঘন করে ৭টি বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডে তিনি স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্নীতি করে চলেছেন।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন না। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগে লে. ক. (অব) প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলামকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকও করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগেও উপাচার্য সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়ম করেই চলেছেন। 

এ সময় বেরাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব খায়রুল কবির সুমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. কমলেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, নীল দলের সভাপতি ড. নিত্য ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029218196868896