৪০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর পর ভারত এবার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বেঁধে দিয়েছে—এমন উড়ো খবরে দেশে পণ্যটির দাম আরেক দফা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দর থেকে খবরটি ছড়ানোর পর কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের আজমিরি ভান্ডারের বিক্রয় প্রতিনিধি গোলাম মাহমুদ জানান, গত শুক্রবার তাঁদের বাজারে প্রতি কেজি বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫২-৫৩ টাকায়। গতকাল শনিবার তা ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল আগের দিন ৬৫ টাকা, গতকাল তা ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণ করেছে, এমন তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতীয় কোনো গণমাধ্যমেও বিষয়টি আসেনি। তবে হিলি বন্দরের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে যে দামেই পেঁয়াজ আমদানি করা হোক না কেন, সেটির দাম ৩২৫ ডলার দাম ধরে শুল্কায়ন করা হবে বলে ওপার থেকে খবর পেয়েছেন তাঁরা।
হিলি বন্দর আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-অর রশিদ বলেন, আগে প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ছিল ১৫০ ডলার। সেটির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন হয়ে রপ্তানি করা হতো। কিন্তু এখন ৩২৫ ডলারে শুল্কায়ন হবে বলে খবর পেয়েছি।
হিলি থেকে ছড়ানো এই খবরে সারা দেশে পাইকারি থেকে শুরু করে খুচরা—সব পর্যায়ে বেড়ে যায় পণ্যটির দাম।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাজধানীর বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ এবং বিদেশি পেঁয়াজ ৬৫-৭৫ টাকায়। এক দিন আগেও বিদেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫৫-৬০ টাকা।