পরিবারের প্রয়োজনে একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন মিনু বেগম (৫২) নামে এক নারী। ওই নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মিনু পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলার মধ্যবাঘরা এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে পদ্মাপাড়ে বোরকা পরা ওই নারীকে একা বসে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে দেখতে না পেয়ে, এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। তখন নদীর পাড়ে ওই নারীর পরিহিত বোরকা, মোবাইল ও একটি চিরকুট পড়ে থাকতে দেখে তারা। চিরকুটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা।’
অনেক খুঁজেও পাওয়া না গেলে মিনুর মোবাইলে ফোন আসে তার স্বজনদের। কিছুক্ষণ পর নিখোঁজ ওই নারীর স্বজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছিল।
মিনুর স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, ছেলেরা গত দুই মাস ধরে বিদেশ থেকে কোনো টাকা না পাঠানোর কারণে তার স্ত্রী এনজিওর কিস্তি দিতে ব্যর্থ হন। সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এনজিওকর্মীরা প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে দোহার থানার শাইনপুকুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, নদীর পাড় থেকে ‘চিরকুট’ ও একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত চিরকুট ও স্বজনদের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঋণের চাপে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন ওই নারী।
অপরদিকে একই দিন বেলা ৩টার দিকে দোহার উপজেলার নাগেরকান্দা এলাকার পদ্মার শাখা নদীতে ওই এলাকার শেখ নোয়াব আলীর মেয়ে রুবি আক্তার (৩৮) গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান।
পরে তার মৃতদেহ নদীর তীরবর্তী একটি এলাকা থেকে ডুবুরিরা উদ্ধার করেন বলে জানায় এলাকাবাসী।