স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেইনিং ভ্যাকসিন) তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা/উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে এ সপ্তাহ থেকেই দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।
সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান’ কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন দিয়েছে। গোটা বিশ্ব যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮ দশমিক ৫১ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজ, ৮২ দশমিক ১৮ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ, ৩৯ দশমিক ৬২ শতাংশ মানুষকে তৃতীয় ডোজ এবং এক দশমিক ৮৫ শতাংশ মানুষকে চতুর্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থার ইতিবাচক মতামত রয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তৃতীয় ডোজ পাবেন ১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি। চতুর্থ ডোজ পাবেন ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং সম্মুখ সারির যোদ্ধারা। তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়ার চার মাস পর, চতুর্থ ডোজ পাবেন তৃতীয় ডোজ পাওয়ার চার মাস পর।’
ডেঙ্গু রোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে পাঁচ গুণ। এজন্য সবার বাসাবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
এ সময় ছিলেন স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খানসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।