দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর টানাপোড়েনের সংসারে বাবাকে সহযোগিতার কথা ভেবে বাড়ি থেকে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন নাঈম আহমেদ (১৮)। এক মাসের মাথায় সেই বাবার সঙ্গে আজ অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বরগুনার বাড়ির পথে রওনা দিলেন লাশ হয়ে।
রাজধানীর বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতের ভয়াবহ আগুনে নিহত নাঈম ঢাকায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে গার্ডা শিল্ড কোম্পানিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করেছিলেন। নাঈমের চাচা ইমন হোসাইন এসব তথ্য জানান।
নাঈমের বাবা মো. নান্টু জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে বসে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল রাত সাড়ে ৯টায়। বলে মার্কেটে আগুন লাগছে। বলল সে ছাদে আছে, আরও লোকজন আছে ছাদে। বলছি, তুমি ছাদেই থাকো, আল্লাহ ফয়সালা করবে। পরে আর ফোনে পাই নাই।’
নাঈমের চাচাতো ভাই মো. ফারুকের হাত ধরে এ কোম্পানিতে চাকরি নেন নাইম। ফারুক বলেন, চাকরির শুরু থেকে অন্য জায়গায় ডিউটি পড়েছিল। কিন্তু এই আগুন লাগা ভবনে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিউটি করছিল সে। বনশ্রীতে আমার সঙ্গেই থাকত নাইম।