দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: কোচিং সেন্টারের মালিকদের উসকানিতে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে একটি গ্রুপ। আর এতে সায় দিচ্ছে নামধারী কিছু সাংবাদিক ও ইউটিউবার। এইচএসসি কোর্সে দুই বছর পড়াশোনা শেষে উচ্চ মাধ্যমিক পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু যুগ যুগ ধরে কখনও ১৭ মাস কখন ১৮ মাসের মাথায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়ে আসছে। কখনো পেছানোর দাবি ওঠেনি। কিন্তু এবার কোচিং মালিকদের মডেল টেস্ট ব্যবসা জমজমাট রাখতে ফেসবুকে পরীক্ষা পেছানোর দাবি তোলা হচ্ছে। আর এতে টাকার বিনিময়ে বিবৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তত রয়েছে ভূইফোঁড় অভিভাবক ফোরাম। সহযোগী রয়েছে নামধারী কিছু সাংবাদিক।
আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। এরপর ব্যাবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে।
এরই মধ্যে কথিত সাংবাদিকরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা শুরু করে দিয়েছেন।
সিলেবাস আরও সংক্ষিপ্ত করা বা পরীক্ষা আরও পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে আগামী ২২ মে মানববন্ধন করানো হবে এইচএসসি পরীক্ষার্থী পরিচয়ে ভাড়া করা কিছু লোক দিয়ে। তারা মুখ ঢেকে আসবেন আর ইউটিউবারদের সাক্ষাতকার দেবেন। পরে ঘোষণা করবেন এই মানবন্ধন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোচিং সেন্টারের মালিকরা তাদের পোষা ইউটিউবার ও কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে এগুলো বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, যারা এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন তাদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষা পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই।
শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তাদের মতে, দেশে ২০০৯ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল; কিন্তু করোনায় শিক্ষাসূচি পরীক্ষা সূচিতে এলোমেলো হয়ে যায়।
২০২২০-এ যারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তারাই এবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ঐ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর। আর ফল প্রকাশ হয় একই বছরের নভেম্বরে। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ঐ শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন হাবিবুর। তিনি জানান, গত বছরের পবিত্র রমজানে ক্লাস বন্ধ ছিল। এছাড়া অনেক কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকায় সেখানে পাঠদানও বন্ধ ছিল। ফলে পাঠদানের সময়গুলোতেও পাঠদান হয়নি।