ভোলার বোরহানউদ্দিনে জরায়মুখের ক্যান্সাররোধে এইচপিভি টিকা নেয়ার পরে ৬২ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের সবাই এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার পক্ষিয়া ইউনিয়নের জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মুনিরুল ইসলাম জানান, ওই স্কুলে ১ শত ৬২ জন টিকা নিচ্ছিলো। এরমধ্যে একজন সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়লে বাকিদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে তিনি গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, টিকা প্রার্থীদের মধ্যে ৬ জন ভ্যাকসিন না নিয়েও অসুস্থ হন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শেখ রুস্তম আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম ও পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে চিকিৎসার পাশাপাশি আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাহিদ সুলতানা জানান, তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা বা বিশ্রাম শেষে তারা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বাদে বাকি সাত বিভাগে ৬২ লাখ কিশোরীকে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ২৪ অক্টোবর থেকে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীকে বিনামূল্যে এই টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি), ইউনিসেফ এবং ডাব্লিউএইচও’র সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।