একটি মাত্র রুম। তাতেই চলছে তিনটি শ্রেণির ক্লাস। মাঝের অংশে চেয়ার টেবিল পেতে বসেন শিক্ষকরা, দুই পাশে গোটা পনেরো বেঞ্চ। সেখানে চলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস। অপর এক কোনে রয়েছে একটি টয়লেট।
রাজধানীর বংশাল থানার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলে বর্তমানে প্রায় ৫০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে চারজন শিক্ষক। একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে যেসব জিনিস থাকা দরকার তার বেশিরভাগই নেই স্কুলটিতে। ছাত্রছাত্রীদের খেলার মাঠ তো দূর, স্কুলটিতে নেই ভালো কোন ক্লাসরুম। নেই শিক্ষার্থীদের বসার জন্য মানসম্মত বেঞ্চও।
বিদ্যালয়ের রয়েছে মাত্র একটি রুম। সেখানে বেঞ্চ পেতে ক্লাস করেন শিক্ষার্থীরা।এক সাথেই চলে তিন শ্রেণির ক্লাস। ঝুঁকিপূর্ণ এই একটি মাত্র ক্লাস রুমেই বসে ক্লাস করেন শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসরুমের বৈদ্যুতিক বোর্ডেও রয়েছে ত্রুটি। সর্ট সার্কিট হলে যেকোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনাও।
স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান,স্কুলে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নেই।তেমন সামর্থ্য ও নেই বড় স্কুলে পড়ানোর, তাই এখানেই পড়াচ্ছি।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা রুমা চৌধুরী জানান ‘স্কুলটির উন্নয়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য তারা দেখেও গেছেন এবং প্ল্যান করেছেন।কিন্তু জায়গা স্বল্পতার কারণে সংকটের উত্তরণ ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন,এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে বাচ্চাদের পড়াতে হয়। আশে আরও দুটি বিদ্যালয় থাকায়, সেখানকার পরিবেশও ভালো হওয়ায় অভিভাবকরা এখানে বাচ্চাদের পাঠাতে চান না।