একই দিনে দুই পরীক্ষা, অস্বস্তিতে শিক্ষার্থীরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি |

প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ছিল ৮ জুন। সেই দিনের পরীক্ষাসহ ২১ জুন একই দিনে দুটি পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রায় ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এতে অস্বস্তি বোধ করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

এক দিনে দুটি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা। কারণ, তিন ঘণ্টা করে দুটি বিষয়ে ছয় ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে বর্ষা এলেও রাজশাহীর তাপমাত্রা কমেনি। গ্রামে লোডশেডিংও কমেনি। ফলে ছয় ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকেরা। তা ছাড়া দুটি পরীক্ষার প্রস্তুতিও ঠিকমতো নেওয়া সম্ভব হবে না বলে তাঁরা মনে করেন।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির তিনটি গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে নজরুল গ্রুপ ও শাহাদুল গ্রুপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৮ জুনের পরীক্ষা নেওয়া হবে ২১ জুন। এর মধ্যে অষ্টমের শিক্ষার্থীদের একটি পরীক্ষাই হবে। তবে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে দুটি বিষয়ে।

এক শিক্ষক জানান, শিক্ষক সমিতির নজরুল গ্রুপের অধীনে নয়টি ও শাহাদুল গ্রুপের সঙ্গে গোদাগাড়ীর ২১টি স্কুল রয়েছে। এই ৩০টি স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিনে দুটি পরীক্ষা দিতে হবে। আর শিক্ষক সমিতির বারী গ্রুপের অধীনে গোদাগাড়ীতে যে স্কুলগুলো রয়েছে, সেগুলোতে ৮ জুনের আটকে থাকা পরীক্ষা শনিবার ছুটির দিনে নেওয়া হয়েছে। তাই এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের ২১ জুন দুটি পরীক্ষা দিতে হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোদাগাড়ীর পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক বলেন, ‘পাশের বিদিরপুর উত্তরা বালিকা বিদ্যালয় (বারী গ্রুপের অধীনে) ছুটির দিনে বকেয়া পরীক্ষা নিয়েছে। ফলে সেখানকার শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি; কিন্তু নজরুল ও শাহাদুল গ্রুপের অধীনে থাকা ৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য এক দিনে দুটি পরীক্ষা ভীষণ চাপ হয়ে যাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল আলম বলেন, ‘একদিকে একটু সুবিধা হলে, অন্যদিকে একটু কষ্ট তো হবেই। কিন্তু বিষয়টি আমাকে না জানিয়ে অভিভাবকেরা আগে সাংবাদিককে জানাতে গেলেন কেন? আমাকে আপত্তি জানালেও তো বিষয়টি বিবেচনা করতাম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035009384155273