একদিকে আহাজারি অন্যদিকে ফুর্তি : জিএম কাদের

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

রাজধানীর সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দেশের মানুষ শোকাহত। যারা স্বজন হারিয়েছে তাঁদের আহাজারি চলছে। স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি না জানিয়ে, দেশে আনন্দ ফুর্তি চলছে। দেশের একদিকে আহাজারি অন্যদিকে আনন্দ ফুর্তি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাপার চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় মহিলা পার্টি আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।  

যখন হাসপাতালের বেডে দগ্ধ মানুষ অসহনীয় কষ্টে কাতরাচ্ছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা এটা নিয়ে একে-অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়। সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী পক্ষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নাশকতা হয়েই থাকে, তাহলে সরকার নাশকতা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। নাশকতা ঠেকাতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

জিএম কাদের বলেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে না পারলে রাষ্ট্র শোক প্রকাশ করতে পারে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানানো যেত। এখন ব্যর্থতা ঘোচাতে অপরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যারা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না। যাদের ব্যর্থতা, অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতির কারণে এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হয়, যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে।

জিএম কাদের আরও বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট কেউ জানে না, তদন্ত কমিটি কী সুপারিশ করল কেউ জানে না। কে দায়ী? বা দায়ীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা কেউ জানতে পারে না। এখন সবকিছুতেই গলদ। ভবন তৈরি হয় বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না, গ্যাসের লাইন বৈধ না অবৈধ তার ঠিক নেই। এগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে যারা, তাঁদের খোঁজ নেই। এত বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে কিন্তু কারণ উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর হতে পারে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক হচ্ছেন যারা - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক হচ্ছেন যারা ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের মসজিদ ইবাদাতের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চারও একটি কেন্দ্র হতে পারে: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha মসজিদ ইবাদাতের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চারও একটি কেন্দ্র হতে পারে: ঢাবি উপাচার্য ঢাকা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূঁঞার ঘুষ বাণিজ্য - dainik shiksha ঢাকা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূঁঞার ঘুষ বাণিজ্য দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055239200592041