রাজধানীতে শুক্রবার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২১টি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা থাকায় বহু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রবেশনারি পরীক্ষা ছিল শুক্রবার। পরীক্ষাগুলো ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিন দেখা যায়, শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এনএসআই ওয়াচার কনস্টেবল পদের পরীক্ষা। পাশেই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদের পরীক্ষা। ৪১টি কেন্দ্রে একযোগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়।
এক শিক্ষার্থী জানান, শুক্রবার পাঁচটি পরীক্ষা ছিল। চাইলে সব পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সম্ভব নয়, তাই একটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য পরীক্ষাটি বাদ দিতে হচ্ছে। একইভাবে বিকেল ৩টা ও সাড়ে ৩টায় ছিল আরও দুটি পরীক্ষা। বিকালের শিফটে সাড়ে ৩টার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও যে কোনো একটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাচ্ছে।
কথা হয় পরীক্ষার্থী সিনথিয়া ব্যানার্জির সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ওয়াসার কনস্টেবল পরীক্ষা দিতে এসেছি। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষাগুলোর আয়োজন করা হলে সবগুলোতে অংশ নেওয়া যেত।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় কথা হয় এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, বেলা ১১টায় মেয়ের একটি ব্যাংকে পরীক্ষা ছিল অনলাইনে। সেটা বাদ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষার জন্য মেয়েকে নিয়ে এসেছি। রমিজ উদ্দিন নামে ওই অভিভাবক বলেন, বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে আরও দুটি পরীক্ষা আছে। কিন্তু একটিতে অংশ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
মনিরুল কায়সার নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, তিনটি পরীক্ষা একই সঙ্গে ছিল। কিন্তু একটিতেই অংশ নিতে পেরেছেন। এই সমন্বয়হীনতার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তার কণ্ঠে হতাশার সুর শোনা যায়।