শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তর এবং পঁচাত্তরের হত্যাকারীরা আবারও মাঠে নেমেছে। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে তারা ক্ষমতায় এসে নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট পুরো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে শেষ করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারা আবারও মাঠে নেমেছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওই হত্যাকারীরা ২০১৩-১৪ খ্রিষ্টাব্দে অগ্নি সন্ত্রাস চালায়। তারা আজকে আবার মাঠে নেমেছে। নানান কৌশলেও তারা পাশে সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গেলে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে করতে হয়। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে করা যায় না। মানুষ আর কাকে বিশ্বাস করবে! যারা তাদের শাসনকালে দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছিল তাদের? দুর্নীতি, দুঃশাসন, নারী নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন তখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এজন্যই মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিদেশে অনেক অনেক টাকা দিয়ে (লবিস্ট) নিয়োগ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এসব অপকর্ম যারা করে তাদেরকে ধিক্কার দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝেছিলেন ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম সেই স্বাধীনতা বাঙালির জন্য নয়। তিনি ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ ভাগের পরপরই সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করলেন। কারণ মানুষকে, বাঙালিকে সংগঠিত করতে হবে। প্রথম তৈরি করলেন যুবলীগ। সেটি অবশ্য খুব বেশিদিন টেকেনি। এরপর ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করলেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের পর এখন পর্যন্ত বাঙালির যত অর্জন তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন গঠিত হলো আওয়ামী লীগ। এরপর একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলার জন্য ধাপে ধাপে বাঙালিকে তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু।
অলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এটিএম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।