একীভূতের খবরে পদ্মা ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

এক্সিম ব্যাংকের সাথে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে আতঙ্ক বেড়েছে আমানতকারীদের। যার প্রভাবে পদ্মা ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক শুরু হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দিন ও পরের দিন ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় ভিড় করছেন আমানতকারীরা। তবে স্বল্প আমানতকারীদের টাকা দিয়ে দিলেও বড় গ্রাহকদের অর্থ দিতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় নিচ্ছে পদ্মা ব্যাংক।

একীভূত কার্যক্রম শুরুর পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ছিল প্রথম কার্যদিবস। রাজধানীর মতিঝিল শাখায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই গ্রাহকদের আনাগোনা ছিল বেশ। স্বাভাবিক দিনের থেকে আমানতকারীদের ভিড় কিছুটা বেশি ছিল। স্বল্প অঙ্কের টাকা সাথে সাথে দেওয়া হলেও বড় অ্যামাউন্টের জন্য সময় নিচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তারা।

টাকা তুলতে আসা এক  দম্পতি  বলেন, আমাদের অল্প টাকা তাই তুলতে এসেছি। সাথে সাথে দিয়ে দিয়েছে। একই সময়ে আরেক গ্রাহক বলেন, পাঁচ লাখ টাকা তোলার জন্য এসেছি, আমাকে দুই দিন পরে আসতে বলেছে।

শুধু টাকা তুলতেই নয়, অনেকেই আসছেন খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। এক গ্রাহক বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন করি পদ্মা ব্যাংকের সাথে। মার্জারের খবর শোনার পরে খোঁজ নিতে এসেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন কোনো সমস্যা হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আমানতকারী বলেন, আমার আমানত ম্যাচিউর হয়েছে। কিন্তু আজকে টাকা দিল না, সপ্তাহখানেক পরে আসতে বলেছে।

আরেক গ্রহক বলেন, ব্যাংকে টাকা রাখলে আতঙ্ক তো কিছুটা থাকবেই। তবে যেহেতু এক্সিম ব্যাংকের সাথে এক হয়ে যাচ্ছে তাই সমস্যা নাও হতে পারে। এখন দেখা যাক কি হয়।

মতিঝিল শাখা প্রধান মনির হোসাইন বলেন, স্বাভাবিকের তুলনায় আমাদের টাকা তোলার চাপ অনেক বেড়েছে। অনেকে ডিপজিট ম্যাচুরিটি আসার আগেই টাকা তুলতে চাচ্ছেন। স্বাভাবিকের তুলনায় ৫০ পার্সেন্ট ট্রেডিশনাল একটা প্রেসার পড়েছে। কারণ মানুষের মাঝে একটা বিষয় কাজ করছে টাকা দিবে কি না। এটা স্বাভাবিক। আমরা গ্রাহকদেরকে বোঝাচ্ছি। অনেকে বুঝতেছে। অনেকে বুঝতেছে না। টাকা দিয়ে দিচ্ছি। শুধু মতিঝিলই নয়। রাজধানীর আরও বেশ কয়েকটি শাখায় খোঁজ নিয়ে একই অবস্থার কথা জানা গেছে।

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান বলেন, এই ধরনের মার্জার প্রক্রিয়া দেশে আগে হয়নি। এ কারণে অনেকেই টাকা তুলে নিচ্ছে। তবে মার্জারের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ এক্সিম ব্যাংক পদ্মা ব্যাংক থেকে অনেক শক্তিশালী। সুতরাং আমানতকারীদের ঝুঁকিতে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পদ্মা ব্যাংকে তারল্য সংকট থাকার কারণে অনেক বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এক্সিম ব্যাংকে আমানতে মুনাফা কিছুটা কম। এজন্য অনেকেই টাকা তুলে নিতে পারে। তবে যাদের মেয়াদি আমানত রয়েছে তাদের সুদের হার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এখনই আমানত তুলে নেওয়ার কোনো কারণ দেখেন না এই এমডি।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024819374084473