একেকটি বই যেন একেক সময়ের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আজ এতকাল পর এই ভেবে অনুতাপ হয় যে আমার সাহিত্য পাঠের অভ্যাসটা বয়সের ধারা মেনে হয়নি। অনেকটা কবি রফিক আজাদের সেই দুটি পঙ্‌ক্তির মতো, ‘পড়েনি ব্যাকরণ পড়েনি মূল বই/ বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই।’

স্বপনকুমারের গোয়েন্দা সিরিজ, দস্যু মোহন, বনহুর বা বাহরাম তো তখন আমার মতো আর দশজন শিশু-কিশোর পড়েছে, আমিও পড়েছি। ফাঁকে ফাঁকে মনোলোভা ছবি আঁকা রুশ শিশুসাহিত্যের বই ক্ষুদে গুলবাজ,মালাকাইটের ঝাঁপি,রূপের ডালি খেলা—এসবও পড়া চলছিল। এরপর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, লীলা রায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায় পড়ে পাঠরুচিটা তৈরি হলে ভালো হতো। কিন্তু হলো না। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বড় বোনের প্রিয় লেখকেরা আমারও মাথাটা খেল সেই স্কুল বয়সেই। নীহাররঞ্জন গুপ্ত, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বা নিমাই ভট্টাচার্যের কাহিনি ও চরিত্রেরা আমার অবুঝ সবুজ মনটাকে অকালে পাকিয়ে দিল।  

১. চিতা বহ্নিমান: সেই স্কুল বয়সেই আমাকে দীর্ঘদিন ঘোরের মধ্যে রেখেছিল ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস চিতা বহ্নিমান। সাহিত্যমূল্য বিচারের সামর্থ্য আমার ছিল না, সেই দায়ও কেউ দেয়নি আমার কাঁধে। তপন ও তপতী নামের দুই যুবক-যুবতীর সম্পর্কের অদ্ভুত সমীকরণে আচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম। যতটা মনে পড়ে, তপন নামের দরিদ্র এক আচারনিষ্ঠ তরুণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল উচ্চবিত্ত সমাজের ভোগবিলাসী জীবনে অভ্যস্ত তপতীর। দীর্ঘকাল স্ত্রীর অবহেলা সয়েও নিজের সাদামাটা জীবন ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি তপন। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্বামীর কাছে ফিরে এসেছিল তপতী। কিন্তু তপন তাকে ক্ষমা করলেও গ্রহণ করেনি। এহেন ‘কড়া পাকের সন্দেশ’ নবীন পাঠকের উপাদেয় হবে সন্দেহ কী!

তাই এই বয়সে এসেও উপন্যাসের শেষ পঙ্‌ক্তিটি ভুলতে পারিনি, কারণ বিরহের অপূর্ব বেদনা তখনই তো চিনতে শিখল কিশোর পাঠক, ‘তোমায় আমায় মিলেছি প্রিয়, শুধু চোখের জলের ব্যবধানটুকু রইল।’

২. গল্পগুচ্ছ: নিজেই এক-আধটু লিখতে শুরু করেছি তখন। ছড়া-কবিতা-গল্প লিখে বিভিন্ন পত্রিকা শিশুসাহিত্যের পাতায় পাঠাই। কিছু ছাপা হয়, কিছু হয় না। সত্যজিৎ রায় তো বটেই, তাঁর বাপ-দাদার লেখাও কিছু কিছু পড়ছি তখন। শাহরিয়ার কবিরের নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়, আলী ইমামের তিতিরমুখীর চৈতা, মুহম্মদ জাফর ইকবালের দীপু নাম্বার টু পড়ে নিজের কৈশোরের সঙ্গে ঘটনা ও চরিত্রকে মেলানোর চেষ্টা করছি। ঠিক এ রকম একটা সময়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পগুচ্ছ আমাকে নতুন এক জগতের সন্ধান দিল। বিচিত্র প্রকৃতি, তার চেয়েও বিচিত্র মানুষের মন; রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছি সেই মনের আলো-অন্ধকার। ‘নষ্টনীড়’, ‘পোস্টমাস্টার’, ‘অতিথি’, ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘মাল্যদান’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘সুভা’, ‘স্ত্রীর পত্র’, ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘একরাত্রি’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘ছুটি’—একেকটি গল্প একজীবনে অজস্র জীবনকে দেখা, জানা ও বোঝার সুযোগ করে দিয়েছিল।

৩. ইংলিশ ফর ইয়ং: চিরকাল ‘অপাঠ্য’ বইয়ের প্রতিই ছিল বেশি ঝোঁক। কিন্তু এইচএসসি পড়ার সময় একটা পাঠ্যবইয়ের মধ্যে পাওয়া গেল ক্লাসের পড়া মুখস্থ করার ক্লান্তির বদলে অন্য রকম এক আনন্দ। ইংলিশ ফর ইয়ং নামের এই সংকলনটিতে ‘গিফট অব দ্য মেজাই’, ‘মাদার ইন ম্যানভিল’, ‘লাঞ্চন’, ‘মিসেস প্যাকলটাইড্স টাইগার’-এর মতো বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্পগুলো স্থান পেয়েছিল। ‘রিডিং ফর প্লেজার’-এর মতো অসাধারণ কয়েকটি প্রবন্ধ আর জন কিটসের ‘টু অটাম’, ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘দ্য ড্যাফোডিলস’, পিবি শেলির ‘দ্য ক্লাউড’, আলফ্রেড টেনিসনের ‘ইউলেসিস’-এর মতো মন কেমন করা কবিতাগুলো ছিল। শুনেছি, এই আনন্দসম্ভার এখন আর পাঠ্যতালিকায় নেই। তার পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে ব্যবহারিক ইংরেজির ‘প্রয়োজনীয়’ বিষয়।

৪. পাখির কাছে, ফুলের কাছে: অকালে পাকলেও বুকের তলায় কিশোর মনটা হয়তো সজল ছিল। নইলে আল মাহমুদের ছড়ার বই পাখির কাছে, ফুলের কাছে এত প্রিয় হয়ে উঠেছিল কেন! ‘আব্বু বলেন, পড়রে সোনা, আম্মু বলেন, মন দে/ পাঠে আমার মন বসে না কাঁঠাল চাঁপার গন্ধে’—এই ছন্দোবদ্ধ পঙ্‌ক্তি পাঠ করে এক শহুরে ছেলের নাকে এসে লাগত অচেনা ফুলের গন্ধ। তা ছাড়া কর্ণফুলীর তীরে বসবাস বলেই হয়তো, জ্যোত্স্নালোকিত আকাশের দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে ভেবেছি, ‘সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে কর্ণফুলীর কূলটায়/ দুধভরা ঐ চাঁদের বাটি ফেরেশতারা উল্টায়।’

আল মাহমুদ আমার হয়েই যেন বলেন, ‘কী আর করি পকেট থেকে খুলে ছড়ার বই/ পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।’

৫. রাজা যায়, রাজা আসে: প্রেমে পড়া আর কবিতা পড়া নাকি সবার জীবনেই একই সময়ের ঘটনা। শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, সুনীল-শক্তি, গুণ-হাসান, হেলাল হাফিজে মন মজে গেল একসময়। তখন নিজেকে শুনিয়ে নিজেই আবৃত্তি করছি, ‘কাছে গেলে সবই পোড়ে/ আমি পুড়ি দূরের আগুনে’ বা ‘ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটি তোমার মতো খুব ব্যথিত...’ ইত্যাদি। কিন্তু আবুল হাসানের রাজা যায় রাজা আসে কাব্যগ্রন্থটি বালিশের পাশে রেখে ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেল। ‘দুপুর ঘুরে কিশোর তুমি বিকেলবেলায়/ বাড়ি ফিরলে তোমাকে ভীষণ ক্লান্ত দেখায়’ পড়ে আয়নায় নিজেকে দেখি। ‘অবশেষে জেনেছি মানুষ একা/ জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা/ দৃশ্যের বিপরীতে সে পারে না এক হতে এই পৃথিবীর সাথে কোনো দিন...’ পড়তে পড়তে নিজের নিঃসঙ্গতাকে অনুভব করতে শিখি যেন।

. ইডিপাস: গ্রিক নাট্যকারেরা বিশ্বাস করতেন, মানুষের জীবন তার ভাগ্য বা নিয়তির নির্দেশেই চলে। সফোক্লিসের নাটক ইডিপাস (সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদ) পড়ে সত্যিকার অর্থেই গ্রিক ট্র্যাজেডি নামের এক বিপন্ন বিস্ময়ের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। রাজা লেয়াস দৈববাণী শুনেছিলেন, তাঁর সন্তান জন্মালে সে পিতার হত্যাকারী হবে এবং নিজের মাকে বিয়ে করবে। রাজা এই আসন্ন সর্বনাশকে ঠেকানোর সব রকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। কী অসাধারণ রচনাকৌশলে গ্রিক নাট্যকার এই পরিণতিকে সম্ভব করে তোলেন, মুগ্ধ হয়ে তা লক্ষ করি।

৭. কৃষ্ণকান্তের উইল: ‘আমাদের দৃঢ়তর বিশ্বাস এই যে কোকিল অসময়ে ডাকিয়াছিল। গরিব বিধবা যুবতী একা জল আনিতে যাইতেছিল, তখন ডাকাটা ভালো হয় নাই। কেননা কোকিলের ডাক শুনিলে কতকগুলি বিশ্রী কথা মনে পড়ে। কি যেন হারাইয়াছি—যেন তাই হারাইয়া যাওয়ায় জীবনসর্বস্ব অসার হইয়া পড়িয়াছে—যেন তাহা আর পাইব না।’ বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ে অলংকারবহুল কিন্তু প্রাণবন্ত এক ভাষার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। দুটি পঙ্‌ক্তির মাঝখানে ফাঁকা অংশে যে অনেক অব্যক্ত কথা লুকিয়ে থাকে, তার সন্ধানও পেয়েছিলাম সেই গদ্যে। ‘রোহিনীর কলসী ভারি, চাল-চলনও ভারি। কিন্তু রোহিনী বিধবা।’ কলসির সঙ্গে চালচলনের সম্পর্ক কী বা তার সঙ্গে একটি নারীর বৈধব্যের সম্পর্কই-বা কী; এই রস ও রহস্যের অনুসন্ধান যেন ক্রমে পাঠক হিসেবে আমাকে পরিণত করে তুলছিল।

৮. দেশে-বিদেশে: বাংলা ভাষার তিন ধারার তিনটি ভ্রমণবিষয়ক বই আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছে দীর্ঘকাল। অন্নদাশঙ্কর রায়ের পথে-প্রবাসে, সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে-বিদেশে আর কালকূটের অমৃতকুম্ভের সন্ধানে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবির দেশে কবিতার দেশে, শঙ্খ ঘোষের ঘুমিয়ে পড়া অ্যালবাম নিয়েও ভালো লাগা ছিল। তবে মুজতবা আলীর বইটি এতটাই প্রিয়, এখনো দেশে-বিদেশের কথা মনে করলে সৈয়দ সাহেবের কেশবিরল মাথা, গোলগাল মুখ, আর চোখ ও ঠোঁটের কোণে লুকিয়ে রাখা তীব্র কৌতুক যেমন মনে পড়ে, তেমনি কাবুল শহরের আবদুর রহমানের কথা ভেবে হেসে উঠতে গিয়ে তার উচ্চারিত ‘ইনহাস্ত ওয়াতেনাম’ শব্দ দুটির কথাও মনে পড়ে যায়। হৃদয় আর্দ্র হয়, দেশপ্রেম ব্যাপারটিকে আরেকবার উপলব্ধি করতে পারি।

৯. দ্য ফ্রেগরেন্স অব গুয়াবা: কলাম্বিয়ার নোবেল পুরস্কারজয়ী লেখক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ভক্ত-পাঠক এ দেশেও কম নয়। জাদুবাস্তবতা ও মার্কেস যেন প্রায় সমার্থক দুটি শব্দ। মার্কেসের কয়েকটি উপন্যাস এবং প্রায় সব কটি গল্প পড়েছি। কিন্তু আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় রাখতে চাই তাঁর একটি সাক্ষাত্কার। মার্কেসের সহকর্মী মেন্দোজার নেওয়া সাক্ষাত্কারটি বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল ফ্রেগরেন্স অব গুয়াবা নামে। এ সাক্ষাত্কারে লেখক তাঁর উপন্যাসের বিষয়, রচনাশৈলী, চরিত্র ও তাদের পরিণতি, জাদুবাস্তবতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি বলেছেন অকপটে। পড়ে এতটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম, এটি অনুবাদ করার কথাও ভেবেছি। কিন্তু পরে জানতে পারি, বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস এটি ইতিমধ্যেই অনুবাদ করেছেন পেয়ারার সুবাস নামে। প্রথমা প্রকাশন থেকে এটি প্রকাশিত গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে।

১০. পুষ্পকুন্তলা: মাত্র ১৬ বছর বয়সে পুষ্পর বিয়ে হয়েছিল সূর্য সেনের সঙ্গে। বিপ্লবী সূর্য সেন। কিন্তু বাসরঘরে মেয়েটি জানতে পারে, চিরকাল স্বামীর দেহসঙ্গ থেকে বঞ্চিত হবেন তিনি। কারণ, তাঁর স্বামী বিপ্লবী তো বটেই, তদুপরি ব্রহ্মাচর্যের মন্ত্রে দীক্ষিত। মালেকা বেগমের লেখা পুষ্পকুন্তলা: বিপ্লবী সূর্য সেনের জীবনসঙ্গিনী বইটি এই পরিণত বয়সেও আবেগাপ্লুত করেছে আমাকে। ঐতিহাসিক তথ্য ও সত্যকে প্রায় গল্পের মতো বর্ণনা করে হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছেন লেখক। তাই একটি অস্ফুট ফুলের গল্প থাকল আমার প্রিয় গ্রন্থের তালিকায়।

 

সূত্র: ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম আলো


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002608060836792