ঝালকাঠি এনএস কামিল (নেছারাবাদ) মাদরাসার বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রম তাহেলী শাখার মুহতামিমের (প্রধান) পদত্যাগ দাবি নিয়ে ছাত্রদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ১১ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে তাহেলী ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মাদরাসার শিক্ষক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি নেছারাবাদ কেন্দ্রীয় মসজিদে অভ্যান্তরীণ প্রোগ্রাম শেষে তাহেলি শাখার মুহতামিম (প্রধান) মাওলানা আলআমিন মাদারীপুরী হুজুরের বিভিন্ন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রদের একটি অংশ।
ছাত্রদের অপর আরেকটি অংশ হুজুরের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ বিভাজনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে তাহেলি শাখার নবম ও দশম শ্রেণির উত্তেজিত ছাত্ররা ভাঙচুর চালায়।
সংঘর্ষে আহতরা হলো: মাহাফুজ, ফজলে রাব্বি, মিরাজ, নাইম, আসিফরেজা, তরিকুল ইসলাম, মোস্তাক, সাব্বির, মাহাথির, রাকিব, আব্দুল্লাহ।
এ ব্যাপারে মাওলানা আলআমিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নেছারাবাদ ইসলামী কমপ্লেক্সের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাওলানা মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের বড় ভাই’র জানাজাতে আছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে লাইনটি কেটে দেন।
সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের টিম, সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকরাও সংবাদ পেয়ে চলে আসেন। তারা ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সমাধানের জন্য বৈঠকের কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।