রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) চীনা ভাষা দিবস ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এনএসইউ ক্যাম্পাসে এ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস, এনএসইউতে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং এনএসইউ আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে
অনুষ্ঠানটি এনএসইউর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক মা জিয়াওয়ানের অনুপ্রেরণামূলক স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউর উপ-উপাচার্য ড. এম ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইউ লিওয়েন, এনএসইউর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের স্থানীয় পরিচালক ড. বুলবুল সিদ্দিকী, এনএসইউর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক মা জিয়াওয়ান এবং এনএসইউএপিসির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার ড. সাইফুল ইসলাম।
চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইউ লিওয়েন বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং বহু-সংস্কৃতি ও অজানা বিশ্বের অন্বেষণে শিক্ষার্থীদের এই মনোভাব বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, বিজয়ীরা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রক্ষায় ভবিষ্যতে অবদান রাখবে।
এনএসইউ’র উপ-উপাচার্য ড. এম ইসমাইল হোসেন দুই দেশের সভ্যতা আদান-প্রদানের সুবিধার্থে এ ধরনের আয়োজন আরো বেশি করার তাগিদ দেন। তিনি বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবধান দূর করতে এবং সম্পর্ক উন্নত করতে এই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার প্রশংসা করেন।
এনএসইউর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক মা জিয়াওয়ান মনে করেন প্রতিযোগিতায় প্রদর্শিত ফটোগ্রাফের মাধ্যমে বাংলাদেশী জনগণ চীন সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারবে। তিনি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কনফুসিয়াস ইনস্টিউটের সঙ্গে কাজ করায় আয়োজকদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় ১৫ জন বিজয়ীকে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট দেয়া হয়। বিজয়ীদের মধ্যে তিনজন প্রতিনিধি তাদের মনোমুগ্ধকর ছবির পেছনের গল্প এবং অনুপ্রেরণা সবার সঙ্গে ভাগ করেন। তারা আয়োজকদের প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি এই আয়োজনকে ঐতিহ্যে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।