তানভীর হাসান, দৈনিক শিক্ষাডটকম: সরাসরি নিয়োগের দাবিতে এনটিআরসিএর সামনের রাস্তায় অবস্থানরত নিবন্ধিত শিক্ষকরা এনটিআরসিএ সচিবকে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিলেন। বুধবার বেলা দুইটার দিকে এনটিআরসিএ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আজ সকাল থেকে রাজধানীর ইস্কাটনে এনটিআরসিএর অফিসের সামনে প্রথমে মানববন্ধন ও পরে রাস্তা আটকে অবস্থান নেয়া শিক্ষকরা এমন কথা বলেন।
বেলা দুইটার দিকে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন।তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে তাদের কিছু করার নেই। ৩৫ বছরের বেশি হলে আর নেয়া যাবে না। । তখন শিক্ষকরা বলেন, তাদের বিষয়টা যেন মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয়। জবাবে সচিব বলেন, ‘মানবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই তাদের। তাদের দাবির বিষয়টি উপরের মহলকে জানাবেন। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী প্রধান হিসেবে যদি কনসিডার করেন তাহলে সেটা হতে পারে। যেমনটা কোভিডের সময় ৫০ বছর বয়স্কদের ডাক্তাার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। এমন বক্তব্য দিয়ে অফিসে চলে যাওয়ার সময় ভুয়া ভুয়া ধ্বনি দেন আন্দোলনরতরা।
সকাল থেকে নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীদের শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এতে ১ থেকে ১২ তম ব্যাচের সব নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীদের শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করা হয়। সংগঠনের সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী সকাল থেকে বক্তৃতা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া অব্দি তারা রাজপথ ছাড়বেন না। এনটিআরসি’র গঠন প্রণালীতে ছিল দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক খুঁজে বের করার লক্ষ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ প্রদান করা। সেই হিসেবে আমরা নিবন্ধিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ লাভ করেছি। তাহলে আজকে কেন আমাদেরকে অদক্ষ এবং অযোগ্য বলা হচ্ছে ?
পরীক্ষার মাধ্যমে কখনো পাস করিয়ে সনদ দেয়া হয়েছে। এই পার্সেন্টেজ থেকে ভবিষ্যতে কাউকে বঞ্চিত করা হবে এরকম কোন কথা তখন বলা হয়নি। পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই এবং ৪০ নম্বর অর্জন করলে নিয়োগযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। তবে আজকে কেন আমাদেরকে মেধাহীন বলা হচ্ছে ?