এনটিআরসিএর সামনে বিক্ষোভ-স্লোগান

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ইস্কাটন গার্ডেন রোড। 

রোববার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাবি আদায়ে অবস্থান নেন চাকরিপ্রার্থীরা।

এনটিআরসিএ কর্তৃক ক্রটিপূর্ণ ফলাফলের দ্রুত সমাধান চান তারা। স্লোগানের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যরাও।

ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে আন্দোলনকারীদের ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ। 

রমনা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এটা ভিআইপি এলাকা, এর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। তাই আপনারা এখানে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না। প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করেন।’

৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতিতে ভুক্তভোগী মেধাক্রমের ভিত্তিতে সুপারিশপ্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান কথা বলেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ আশ্বাস দেয়, এনটিআরসি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলিয়ে দিবে।

পরে আন্দোলনকারীরা প্রাথমিকভাবে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এনটিআরসি কর্তৃক প্রকাশিত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির ক্রটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করতে হবে। কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে মেধায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। 

আনিসুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পছন্দ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলোতে আমাদের সুপারিশ করা হয়নি। কিন্তু আমাদের চেয়ে মেধাতালিকায় পিছিয়ে থাকা অনেকেই ওইসব প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যে কারণে আজকে আমরা এখানে কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।

সালাউদ্দিন নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, প্রার্থীদের মেধাক্রম, পছন্দক্রম ও গণবিজ্ঞপ্তির ৭ নম্বর নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের সুপারিশ করতে হবে। প্রকাশিত ক্রটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান করে দ্রুত নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

পরে পুলিশের সহযোগিতায় আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল এনটিআরসিএ কার্যালয়ে যান। তাদের সঙ্গে বলেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান। 

তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছেন তাদের অনেকেই আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাদের আবেদন যাচাই করা হচ্ছে, এখনো এটা প্রক্রিয়াধীন। পরে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ইনডেক্সধারী। সেসব প্রার্থীদের রোল নম্বরগুলো ব্লক করে রাখা হয়েছিল, সে কারণে সমস্যা হতে পারে। দুই একটিতে সমস্যা থাকতে পারে। আবেদনগুলো ফের যাচাই-বাছাই করব। 

এনটিআরসিএর আশ্বাসের পরে আন্দোলনকারীরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026860237121582