গতবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। এবারও ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণির ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানিয়েছে অধিদপ্তর। এদিন অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক চিঠি সব বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১ জুন বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে। উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছিলো, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে গত ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের মতো একই পদ্ধতিতে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণির সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৩ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হলো। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রমে মনযোগী করতে ও শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশের স্বার্থে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা অনুসারে বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পক্ষ থেকে বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
গতবছর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে দুই ঘণ্টা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরে হয়েছিলো বৃত্তি পরীক্ষা। বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে গতবছরের পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃত্তির জন্য সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বাতিল করতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে। পরে ১ মার্চ ফের বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছিলো।