এমএম কলেজ শিক্ষক পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা

যশোর প্রতিনিধি |

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে শিক্ষক পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। খাতা-কলমে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা করা হলেও তফসিল ও মনোনয়নপত্র বিক্রি উন্মুক্ত করা হয়নি।

অনেক শিক্ষক এ তফসিলের বিষয়ে অবগত নন। আবার নির্বাচন কমিশনারও বলছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সব অধ্যক্ষ স্যার জানেন। রোববার সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলেও পাননি। উলটো মনোনয়ন সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাবেক ছাত্রনেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর খান শাহবুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তা অধ্যক্ষ স্যারের কাছে আছে। রোববার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। তবে কেউ সংগ্রহ করেছেন কি না সেটা অধ্যক্ষ স্যার জানেন। আমি অসুস্থ, বাসায় আছি। আমি কিছু জানি না।’

গত ৩০ জুন এমএম কলেজের শিক্ষক পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য কলেজের অধ্যক্ষ এমএ আব্দুল মজিদ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ এক মাস বৃদ্ধি করেন।

তবে কলেজের শিক্ষক নেতারা বলেছেন, শিক্ষক পরিষদ একটি স্বতন্ত্র সংগঠন। এমন একটি সংগঠনের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে হতে পারে না। শিক্ষক পরিষদের নিজস্ব গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন করা অবশ্যই একটি অবৈধ পন্থা। সহযোগী অধ্যাপক ছোলজার রহমান বলেন, ‘অধ্যক্ষের পছন্দের ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তফসিল পাওয়া যাচ্ছে না।’

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

এমএম কলেজের অধ্যক্ষ এমএ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘শিক্ষক পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এক মাস আগে সম্পাদক লিখিতভাবে আমাকে বিষয়টি অবহিত করার কথা। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। এজন্য গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য গত ১৫ জুলাই একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করেছি। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নতুন পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে নির্বাচন করা যাচ্ছে না। এজন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034148693084717