শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের এমন কোন খাত নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামী ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করবে।
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) অধীন ঢাকার পূর্বাচল নিউ টাউনে টিচিং ও ট্রেনিং পেট হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের ৯ তলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি গবেষণা কেন্দ্রের ৯তলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সব সেক্টরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে সিভাসুর ঢাকাস্থ টিচিং ও ট্রেনিং পেট হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রটিকে ৯ তলা বিশিষ্ট ভবনে পরিণত করা হচ্ছে। এটি ভেটেরিনারি শিক্ষার্থী ও পোষাপ্রাণী পালকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত আনন্দের খবর।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, এ বহুতল ভবনে পোষাপ্রাণীর চিকিৎসাসেবা দেয়ার সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এখানে থাকবে মেডিসিন ইউনিট, সার্জারি ইউনিট, গাইনি ও অবস্টেট্রিক্স ইউনিট, অর্থোপেডিক্স ইউনিট, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং ইউনিট এবং ভ্যাকসিনেশন ইউনিট ইত্যাদি। এই হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের ৯তলা ভবনের কাজ শেষ হলে এর কর্মকাণ্ড ও প্রাণিসেবার পরিধি আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
টিচিং ও ট্রেনিং পেট হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তৈরির উদ্দেশে সিভাসুর উদ্যোগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার পূর্বাচলে ২২ কাঠা জমিতে এ টিচিং ও ট্রেনিং পেট হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ভেটেরিনারি পেশাকে আরও উন্নত এবং মানসম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এই হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।