ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে; সেই অনুযায়ী এমপি আনার হত্যার মূল আসামি শাহিনকে ধরে এনে ভারতে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। এমনটা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত এমপি আনার আনার হত্যাকাণ্ড বিষয়ে তথ্য আদান প্রদান চলছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে দুইটি। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও একটি মামলা হয়েছে। কাজেই এ ঘটনায় দুই দেশই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে ভারত খুনের মামলার জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার কাজ করছে। খুন ও অপহরণের মামলার তদন্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় নতুন অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন। সংশ্লিষ্ট যারা জড়িত আছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সত্যের কাছাকাছি চলে এসেছি। মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারবো। মরদেহ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শোনা হয়েছে।
এমপি আজীমের সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা প্রমাণ লাগবে যে এই খণ্ডবিখণ্ড মাংসগুলো তার। তার ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মেয়ের সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাহলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হবে। তখনই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
বারিধারায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহতের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গুলি করেছে; যা দুখজনক বলে জানান তিনি। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।