নীতিমালার শর্তসমূহ শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
বুধবার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে কোনো আবেদন নেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ২০২৩ চলে যাচ্ছে, যদিও আবেদন নেয়ার কথা ছিলো কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নেয়া হচ্ছে না। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বিশেষ বিবেচনায় আরো ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনকে সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর সব শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আপনার সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মনিমুল হক বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারেন, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে বানাতে পারেন, পদ্মা সেতু বানাতে পারেন, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাতে পারেন, স্যাটেলাইট পাঠাতে পারেন, কাজেই আপনি অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তও করতে পারবেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন বাবুল, মো. জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ আলতাব মাহমুদ, অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান বাবুল, বাবুল আক্তার, মো. নাইম হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, সুপার তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক নুরুল আমিন নওয়াব, খায়রুল ইসলাম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন খানসহ অনেকে।