বর্ধিত সময়েও সার্ভার জটিলতায় অনলাইনে এমপিওর আবেদন করতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ, ঘোষিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে না পারায় দুই মাসের বেতন বঞ্চিত হয়েছেন।
মাসের শুরু থেকে ইএমআইএস সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে এমপিও আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারছিলেন না নতুন শিক্ষকরা। আর পুরাতন শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেড ও বিএড স্কেলের আবেদনও করতে পারছিলেন না। এর প্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই কার্যক্রমের সময় একদফা সময় বাড়ানো হলেও তা কাজে আসেনি। বর্ধিত এই সময়ের মধ্যেও কাঙ্ক্ষিত এমপিও আবেদন করতে পারেননি অসংখ্য শিক্ষক।
গতকাল রোববার দৈনিক আমাদের বার্তাকে ফোন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনটাই জানিয়েছেন এমপিও আবেদন করতে না পারা শিক্ষকরা।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষকরা যেকোনো সময় আবেদন করতে পারবেন। তবে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে যে কোন মাসে কত আবেদন গ্রহণ করা হবে। শিক্ষকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে তারা যেনো আবেদন না করে বসে না থাকেন।
পিরোজপুরের মহিউদ্দীন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বদরুদ্দোজা বলেন, আমাদের ৮ অক্টোবর আবেদনের শেষ তারিখ ছিলো। কিন্তু সার্ভার জটিলতায় আবেদন করতে পারিনি। আবেদনের সময় বাড়ালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ হয়েছে। আমরা এতোদিন বেতন পাইনি। সরকার এখন আমাদের বেতন দেবে কিন্তু সার্ভার জটিলতায় আবেদন করতে পারছি না।
সাফা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বুলবুল মিয়া বলেন, আমি ৬ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু করেছি এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারিনি। ৮ অক্টোবর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে কাজ না করায় এখনো আবেদন করতে পারিনি।
মহিউদ্দীন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমি নতুন এমপিও’র জন্য ১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে ইএমআইএস সফটওয়্যারে আবেদন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনোভাবেই ফাইল আপলোড করতে পারছিনা।
এর আগে ৭ অক্টোবর ‘সার্ভার জটিলতায় এমপিওর আবেদনে ভোগান্তি’ শিরোনামে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপর আবারো ৮ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলের প্রোগ্রামার মো. জহির উদ্দিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আবেদন বিষয়ে শিক্ষকরাও ভোগান্তিতে আছেন আমরাও ভোগান্তিতে আছি। স্বাভাবিক সময়ে সারা দেশে আবেদন পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার। কিন্তু এ মাসে আবেদন ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি হয়ে গেছে। জটিলতা যেটা ছিলো সেটা হলো, এনটিআরসিএ গতমাসে একলটে অনেক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে, যার ফলে সবাই একসঙ্গে আবেদন করার জন্য সার্ভার স্লো হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা বসে থেকে যদি সবাই একসঙ্গে দুইমাস পরে দরজায় ধাক্কা দেন তাহলে অবার দরজা লক হয়ে যাবে।
আমাদের ২৪ ঘণ্টা সার্ভার খোলা কখনো বন্ধ হয়না।
মাউশি অধিদপ্তরের সাধারণ প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. শাহজাহান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কয়েকদিন টানা ছুটি আর শেষ তারিখে সবাই চেষ্টা করেছে এ জন্য সার্ভারে ঢুকতে পারেনি। এখন আমি সিস্টেম অ্যানালিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি, ওনাকে পাচ্ছি না। ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আদৌ সময় আবার বাড়ানো যাবে কিনা তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।