এমপিওর দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের ব্যানারে দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মঙ্গলবারও (২৪ অক্টোবর) এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বলেছিলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। ” কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে কোনো আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৩ চলে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে যদি আবেদন না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, গত ১৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন-এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। গত ১৭ অক্টোবর বিশেষ বিবেচনায় আরো ৯১টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আমরা মনে করি, দেশের সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর সব শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

অবস্থান কর্মসূচিতে পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মনিমুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাতে পারেন, পদ্মা সেতু বানাতে পারেন, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাতে পারেন, স্যাটেলাইট পাঠাতে পারেন, কাজেই আপনি অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তও করতে পারবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন বাবুল, অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ আলতাব মাহমুদ, অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান বাবুল, বাবুল আক্তার, মো. নাইম হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, সুপার তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক নুরুল আমিন নওয়াব, খায়রুল ইসলাম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন খান প্রমুখ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002357006072998