সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজে গভর্নিং বডির প্রভাবশালী কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে গভর্নিং বডির সদস্য ও এমপি পুত্র প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ কয়েকজন সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। কলেজের ২ পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা হলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী আশরাফ হোসেন, আজিজুল বিশ্বাস, রাজীব কুমার দাস ও কনিকা কর্মকার। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই তথ্য তুলে ধরেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ জানুয়ারী শুক্রবার বন্ধের দিন কলেজের উপাধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর ২টি শূণ্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উপাধ্যক্ষ পদে প্রথম হন শাহিনুর রহমান এবং দ্বিতীয় হন সাবিনা সালাম। এতে উত্তীর্ণ উভয় প্রার্থীই মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক। কিন্তু গভর্নিং বডির সদস্য ও নারী আসনের এমপি রাবেয়া আলীমের পুত্র প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও তার সহযোগীরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাবিনা সালামকে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ডকে চাপ সৃষ্টি করেন। একইভাবে অফিস সহকারী পদে মেধায় শীর্ষে থাকা প্রার্থীকে বাদ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে প্রভাব বিস্তার করা হয়। এতে করে দুই পদের নিয়োগে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন হয় বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে কলেজের অস্বচ্ছ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এর আগে একইভাবে কলেজের ৫টি শূন্য পদে অর্থের বিনিময়ে লোক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নারী আসনের স্থানীয় এমপি রাবেয়া আলীম কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি থাকাকালে ওই অনৈতিক অভিযোগ ওঠে। এমপির বিরুদ্ধে ওই নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য শেখ মোহন ও অভিভাবক সদস্য হায়দার আলী। অভিযোগকারীরা শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওই অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও এমপি পুত্র প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদের সঙ্গে। তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।