এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির যোগ্যতার ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)। একইসঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ-৪ এর পরিবর্তে আগের মতো ৩.৫০ জিপিএ বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি। নইলে ছাত্র হারাবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, রাজস্ব হারাবে দেশ। তাছাড়া যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী আসতেন তারা অন্য দেশে পড়তে চলে যাবেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি নিয়মে উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিকভাবে তাদের মৌলিক অধিকার বহাল রেখে ভর্তির সুযোগ দান এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে হঠাৎ করে এককভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৪ এর পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় ৩.৫০ জিপিএ বহাল রাখতে হবে। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে বিপিএমসিএ তাদের আবেদনে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
আরও বলা হয়েছে, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে সরকার নির্ধারিত নিয়ম প্রতিপালন করে নির্ধারিত পাস মার্ক ৪০ নম্বর পেয়ে প্রায় ৪৯ হাজার শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শূন্য আসনে ভর্তি হতে আইনগত ও মৌলিক অধিকার রয়েছে।
সরকার নির্ধারিত ভর্তির যোগ্য ঘোষিত নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ নিয়ম পরিবর্তন করে ৩৫ হাজার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে করে একজন উত্তীর্ণ ও সরকার কর্তৃক যোগ্য ঘোষিত প্রার্থীর সাংবিধানিকভাবে তাদের মৌলিক অধিকার বহাল রাখা সরকারের দায়িত্ব। নতুবা এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে অনেকে বিজ্ঞ আদালতের শরনাপন্ন হতে পারে এবং আইনি জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিপিএমসিএ মুবিন খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজেসমূহের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার আশু সমাধান জরুরি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বছরে এ সব কৃত্রিম সমস্য সৃষ্টি করে মহল বিশেষ ঘোলা পানিতে মাছ সৃষ্টি করে সরকারকে বেকাদায় ফেলার ষড়যন্ত্র করছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকারের অভ্যন্তরে এখনও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা বিএনপি-জামাত চক্রের লোকেরো সেটেল্ড ইস্যুকে পরিবর্তনের নামে প্রাইভেট সেক্টরের সাথে সরকারের সুসম্পর্ক নষ্ট করছে কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত।