এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রথম মাসে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ সময় এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ছিল প্রাইভেটকার।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানিয়েছেন, কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে যানবাহন চলাচলের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা পূরণ হবে। তখন ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে চলাচল করলে রাজস্ব পাবে সরকার। এখন যেভাবে যানবাহন চলছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা আশাব্যঞ্জক। পৌনে সাত কোটি টাকা এক মাসে আয় হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৮ দিনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি যানবাহন চলাচল করেছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। যানবাহনের মধ্যে ৯৯ শতাংশই ছিল প্রাইভেটকার। ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭টি প্রাইভেটকার চলেছে। অপরদিকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে এখন সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি লাভজনক অবস্থায় আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর যানজট দূর করার লক্ষ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু প্রথম অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও বেসরকারি গণপরিবহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না। কারণ এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে যাত্রী ওঠানামানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা যাত্রী সংকটে পড়েছে। তাই নিচের সড়ক ব্যবহার করেই তারা চলাচল করছে।
এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন সাড়ে ১৩ হাজারের কম যানবাহন চলাচল করলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। আর এ বিধান কার্যকর হওয়ার কথা ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুন থেকে যে সময় কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত পুরো প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু আগেই প্রথমাংশ উদ্বোধনের পরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
অন্যদিকে পুরোপুরি চালুর পর প্রতিদিন ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করলে যে রাজস্ব আদায় হবে সেখান থেকে ২৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আর সেতু কর্তৃপক্ষ তাদের আয় থেকে ১০ শতাংশ রেলওয়েকে দেবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) বাস চলাচল চালু করে। শুরুর দিনে ৮টি বাস চলাচল করে সংস্থাটি রাজস্ব আয় করে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় দিন দ্বিগুণ হয়ে সংস্থাটি রাজস্ব আয় পায় প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে বিআরটিসি বাসের সংখ্যা বাড়িয়েছে। তাদের আয়ও বেড়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের শুধু প্রথমাংশ উদ্বোধন হওয়ায় এখনো দুটি র্যাম্প চালু হয়নি। এখনো মহাখালী, বনানী ওঠার দুটি র?্যাম্প চালু হয়নি। বনানীর সেতু ভবন থেকে মহাখালীর তেজগাঁও পর্যন্ত যানজট আগের মতোই রয়েছে।