নওগাঁর মান্দায় আঙ্গুর আক্তার নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর নামে প্রক্সি দেয়ার সময় কেন্দ্র থেকে সাওফা সাফী সিফা নামের এক কলেজছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ছাত্রী উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউপির ছোট চক-চম্পক গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও চকউলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। মূল পরীক্ষার্থী আঙ্গুর আক্তার একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, শনিবার এসএসসি পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার সময়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোতবাজার আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে চকউলী ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীসহ ছোট চক-চম্পক উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য উপজেলায় নিয়ে আসেন। শিক্ষক দুইজন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শিক্ষকদের সহযোগীতায় প্রবেশ পত্রে নিজের ছবি ব্যবহার করে প্রথম পরীক্ষা থেকে সব কয়টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ওই কলেজ ছাত্রী। পরীক্ষার সময় তার প্রবেশ পত্র দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পরলে আসল পরীক্ষার্থী আঙ্গুর আক্তারকে বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সূত্র আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানে পাসের হার বাড়াতে ছোট চক-চম্পক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলামের নির্দেশে একজনের বদলে আরেকজনকে পরীক্ষায় বসানোর জন্য ছবি বদলসহ নকল প্রবেশ পত্র তৈরিতে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সহায়তা নেন। কলেজ ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর না হওয়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ছাত্রীকে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয় এবং দুই শিক্ষকেও ছেড়ে দেয়া হয়। এমন ঘটনায় অসাধু দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভ্রম্যমাণে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় এক কলেজছাত্রীসহ দুই শিক্ষককে উপজেলায় নিয়ে আশা হয়েছিলো। প্রকৃত শিক্ষার্থী তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আটককৃত কলেজছাত্রী সেফার বয়স ১৭ বছর হওয়ায় তাকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। জোতবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসাকে এ বিষয়ে রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। এরপর সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আইনি প্রক্রিয়া ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।