এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বয়সে ছাড় দেয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ২০ বছর বয়সের পর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসার সুযোগ না পেলেও ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা প্রতিবন্ধকতার কারণে সাধারণ শিশুদের মতো স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না। স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের তুলনায় তাদের জন্য বেশি সময় প্রয়োজন হয়। তাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন ১৪ বছর বয়স থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে, এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের তথ্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনলাইন ডাটাবেজে নিবন্ধন থাকতে হবে। আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগের মতোই ১৪ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
জানা গেছে, ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তারা সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর বয়স পর্যন্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৪ ও সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে গত ২০ জুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
প্রচলিত নিয়মে প্রতিবন্ধকতা বিবেচনা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে কিছু সুবিধা পান। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধকতা ও হাত না থাকা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট (৩ ঘণ্টার পরীক্ষায়) সময় দেয়া হয়। অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসিতে ভোগা পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট (৩ ঘণ্টার পরীক্ষায়) সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক, সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।