দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। এ জন্য গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শত শত আবেদন জমা পড়ে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার ঐচ্ছিক ছুটি নিচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে শুধু আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এবার সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদের ছুটি তিন দিনই থাকছে। ঈদুল ফিতরে ঐচ্ছিক ছুটি এক দিন নেওয়ার সুযোগ থাকায় তা কাজে লাগাচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি বড় অংশ।
যারা গ্রামে অথবা দূরে কোথাও যাবেন, তারা ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ঈদের ছুটির আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে সচিবালয় ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অগ্রিম ছুটি নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সরকারি ছুটি ঘোষণা না করায় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐচ্ছিক ছুটির আবেদন জমা দিতে দেখা যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নারী কর্মচারী বলেন, ‘আমার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। বাড়ি যেতে অনেক সময় লাগে। এ কারণে আমি দুই দিনের ছুটির আবেদন করেছি।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার সরকারি ছুটি বাড়ানো হয়নি। ফলে এবার ছুটি আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ এপ্রিল (বুধ থেকে শুক্রবার) পর্যন্ত তিন দিনই থাকছে। তবে সরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি ভোগ করবেন আরও বেশি। কারণ, ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রোববার আবার পহেলা বৈশাখের ছুটি। মানে হলো, টানা পাঁচ দিন ছুটি পাচ্ছেনই।
তবে এটি আরও বাড়তে পারে। কারণ, পবিত্র শবেকদরের পরদিন রোববার সরকারি ছুটি। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী আগামী সোম ও মঙ্গলবার ছুটি নিতে পারলে তিনি লম্বা ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অনেকেই অগ্রিম ছুটি নিয়ে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় অফিসে এসে শুধু হাজিরা দিয়েই চলে গেছেন। সচিব, উপসচিব পর্যায়ের যারা অফিস করছেন, তাদেরও কাজের ব্যস্ততা তেমন ছিল না।