কওমি মাদরাসার প্রকৃত সংখ্যা না জানা কেন অন্যায় হবে না?

সিদ্দিকুর রহমান খান |

সারাদেশ দূরে থাক শুধু রাজধানীতে বা সমগ্র ঢাকা জেলায় কওমি, নূরানী ও মক্তবের সঠিক সংখ্যাই জানা নেই সরকারি বা  বেসরকারি কোনো সংস্থার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসার আলাদা বিভাগ রয়েছে। সেখানে আছেন পূরোদস্তুর একজন সচিবসহ অনেক কর্মকর্তা। তাদের কাছেও কওমি মাদরাসার সর্বশেষ ও সঠিক সংখ্যা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছেও কোনো তথ্য নেই। শিক্ষা বিষয়ক শত শত এনজিওগুলো বিদেশ থেকে বহু বছর ধরে কাড়ি কাড়ি ডলার এনেছে দেশের শিক্ষা নিয়ে কাজ দোহাই দিয়ে, কিন্তু তাদের হাতেও কোনো তথ্য নেই বলেই জানি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস’র) কাছেও সর্বশেষ ও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। সর্বশেষ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্যানবেইসের সংগ্রহ করা তথ্যে প্রচুর গোঁজামিল ও ভুল আছে বলে আমি হলফ করে বলতে পারি। প্রতিবছর সব স্তরের ও ধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি  ও প্রকাশ করাই ব্যানবেইসের অন্যতম প্রধান কাজ। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ হয় কিন্তু কওমির কিছু থাকে না। 

  

পাঠক, কওমি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা কেউ জানবে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা শুরুর আগে ফিরে যাই ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিলে। তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকাসহ ৬৪ জেলা প্রশাসককে কওমি, নূরানীসহ সরকারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত সব ধরণের মাদারাসার তালিকা ও টাকার উৎসসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ডিসি সাহেবরা কি করেছিলেন তা বলার আগে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটু আলোচনা করি।

আরও পড়ুন: উইকিলিকসে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা

কিছুদিন পরপর কওমি মাদরাসাভিত্তিক রাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলাম নানা কর্মকান্ডে আলোচনায় আসে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় অতীতের মামলা-মোকদ্দমাসহ হিসেব-নিকেষ। এবারও ব্যতিক্রম নয়। এবারও সারাদেশে হেফাজতের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমর্থকদের সমাবেশ, মিছিল, ভাঙচুর, হামলার সঙ্গে সঙ্গে কওমি-নূরানী-হাফিজিয়াসহ সব অনিবন্ধিত মাদরাসা ও শিক্ষার্থী সংখ্যার বিষয়াদি আলোচনায় এসেছে। এসব মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ভৌগলিক অবস্থানের বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৮ এপ্রিল দেশের কোথাও কোথাও মেশিনগানের পোস্ট বসানো হয়েছে। নিবন্ধন এবং সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না থাকায় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে নিহত-আহতের সংখ্যা নিয়ে দেশি-বিদেশী নানা পক্ষ নানামূখী প্রচার-অপপ্রচারের সুযোগ নিয়েছে ও নিচ্ছে। কওমির আলোচনায় এবার নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। গতকাল ৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে শিক্ষাউপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘অরাজকতা বন্ধ না করলে কওমি সনদের স্বীকৃতি পুনর্বিবেচনা করা হবে।’ 

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬৪ জেলা প্রশাসকের অধীনস্ত কওমি, নূরানী, ফোরকানিয়া, হাফিজিয়া, আহলে হাদিস ও মসজিদ ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের  তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়।আজ (৯ এপ্রিল, ২০২১) এ লেখার সময় পর্যন্ত ঢাকা জেলা বাদে বাকী ৬৩ জেলার মাদ্রাসার অসম্পূর্ণ তথ্য সম্বলিত তালিকা মন্ত্রণালয়ের হাতে রয়েছে বলেই জানি।

পাঠক, একটা উদাহরণ দেই। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কওমি মাদরাসার নেতৃবৃন্দের বৈঠক শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি মাদরাসার অবস্থানপত্র হস্তান্তর করা হয়। অবস্থানপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত জেলা ভিত্তিক তালিকায় ৬৩ জেলার মাদ্রাসার সংখ্যা দেখানো হয় ২৪ হাজার ৯৩১টি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তরিত অবস্থানপত্রের ভূমিকায় মোট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৯০৬টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা অবস্থানপত্র ও অসম্পূর্ণ তালিকা নিয়ে বৈঠকের আগেই গণভবনে হাজির হন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই শীর্ষ ব্যক্তি। গণভবনের ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠন ও পরবর্তীতে কওমি শিক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্যোগ হয়। ওই শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বাতিল করার দাবি তোলেন কওমি মাদরাসা নেতারা।

পাঠক, দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিলে জেলা প্রশাসকদেরকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছিল মাদ্রাসার সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও ধরণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকগণের নাম, অর্থের উৎস, বর্তমান তহবিলের অবস্থা, হিসাব ব্যয় নিরীক্ষা পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যবিষয়সমূহের তথ্য সম্বলিত তালিকা তৈরি করতে। প্রধামন্ত্রীকে হস্তান্তরিত কিন্তু জনসাধারণের জন্য অপ্রকাশিত ওই তালিকায় শুধু মাদ্রাসার জেলাভিত্তিক সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের ধরণ উল্লেখ ছিলো।

পাঠক লক্ষ্য করবেন, জেলা প্রশাসক কর্তৃক পাঠানো তথ্যে চট্টগ্রামে ৭৪৮টি মাদরাসার উল্লেখ থাকলেও ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন এআইজি’র তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয় চট্টগ্রাম জেলার ১৫ থানায় ১৬৪টি কওমি মাদরাসা রয়েছে।এর ছাত্রসংখ্যা ৬৭ হাজার ২০৭ এবং শিক্ষক ২ হাজার ৯০৬।  হাট হাজারীর কওমি মাদরাসাসমূহ সম্পর্কে পুলিশ সদরদপ্তরের অনুসন্ধানি প্রতিবেদনটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম এশিয়ার বৃহত্তম কওমি মাদরাসা। হাটহাজারী থানা এলাকার ১৩ মাদরাসায় ছাত্র সংখ্যা ১২ হাজার, ফটিকছড়ির ৯ মাদরাসায় ৮ হাজার ৯৬০ ও পটিয়ার ৯টিতে ৮ হাজার ৪১৪ জন। সাতকানিয়ার ১৯ মাদ্রাসায় ৫ হাজার ৫৯৬ জন হলেও সন্দ্বীপের ৮ মাদ্রাসায় ৫ হাজার ৩৯৩ ও রাউজানের ১৫ টিতে ৫ হাজার ৫২ জন এবং বাঁশখালীর ১২ মাদরাসায় ৪ হাজার ৩৩৪ জন ছাত্র।

পাঠক, গত কয়েকদিনে হাটহাজারী এলাকার তাণ্ডবের সঙ্গে সংখ্যার আধিক্য মিলিয়ে নিতে পারেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহায়তায় পরিচালিত  ‘কওমি মাদরাসা স্যাম্পল সার্ভে-২০১০’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনের একটি কপি আমার [এই লেখকের] হাতে রয়েছে। দেশের সাত জেলায় পরিচালিত মাদরাসার এ নমুনা জরিপে আরও সহায়তা করেছেন কওমি মাদরাসার বৃহত্তম শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া। নমুনা জরিপে উঠে আসা সাত জেলার মোট ৫৪৪টি কওমি মাদরাসার মধ্যে সর্বাধিক ১৮৯টি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায়, ১৪৪ ময়মনসিংহে, মৌলভীবাজারে ৭৮, পিরোজপুরে ৪০, মাদারীপুরে ৩৯, রাজশাহীতে ৩২ ও ঝিনাইদহে ২২ টি । এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবির) অর্থ ও কারিগরী সহায়তায় তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৭ জেলার বায়ান্ন উপজেলায় মোট ৫৪৪টি কওমি মাদরাসার মধ্যে ১৫৩টির প্রতিষ্ঠা ২০০০ থেকে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। আশ্চর্যজনকভাবে ১৯৮৩  থেকে জরিপকাল (২০১০) পর্যন্ত মিউনিসিপাল ও মেট্রোপলিটন এলাকায় কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার হার বেড়েছে। প্রতিবেদন বলছে, সাত জেলার মোট ৫৪৪টির মধ্যে ৩১ টি ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের আগে প্রতিষ্ঠিত, আর পাকিস্তান আমল অর্থাৎ ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ এর মধ্যে ৬৩টি, ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৫৪ টি, ১৯৮৩ থেকে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২৪০টি।পাঠক, সর্বাধিক ১৮৯টি মাদরাসা অধ্যুষিত ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় গত কয়েকদিনে সর্বাধিক তাণ্ডবের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র খুঁজে পান?

নবম জাতীয় সংসদের [২০০৯-২০১৩] বিএনপি সাংসদ মোসাম্মৎ শাম্মী আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী সংসদকে জানান, ‘দেশের কওমি মাদরাসার সংখ্যা ২৪ হাজার ৯৩১টি। মন্ত্রী আরো জানান, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড স্থাপনের পর দেশে বিদ্যমান কওমি মাদরাসার পরিসংখ্যান সম্পর্কিত কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।’ পাঠক, আজ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল।

পাঠক, দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিল ডিসিদের কাছে কওমিসহ সব অনিয়ন্ত্রিত মাদরাসার তথ্য চাওয়ার কথা মনে আছে তো? ২০০৯ থেকে ২০১৩ একজনই শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।

কওমি বিষয়ে উইকিলিকসের বদৌলতে জানতে পারি, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ৩ মার্চ ওয়াশিংটনে  পাঠানো এক তারবার্তায় ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি মাদরাসার সংখ্যা ২৩ থেকে ৫৭ হাজারের কথা উল্লেখ করেছেন।

২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে কওমি মাদরাসার ওপর প্রথমবারের মতো ব্যানবেইসের করা  জরিপে কওমি  মাদরাসা পাঁচ হাজার ২৫০টি এবং ১৩ লাখ সাড়ে সাতান্ন হাজার শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়।

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ব্যানবেইসের করা সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এবং হিফজুল কোরআন (শুরু) থেকে তাকমিল (কামিল সমমান) ছয় স্তুরের মাদরাসার সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে ‘শিগগিরিই জেলা ও উপজেলাভিত্তিক তালিকা বই আকারে মূদ্রণ করার’ কথা বলা হলেও আজও তা হয়নি।

প্রতিদিন ডজন ডজন রিটের খবর পাই। কেউ কি আছেন কওমি মাদরাসা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়ে রিট করবেন?

সিদ্দিকুর রহমান খান, সম্পাদক দৈনিক শিক্ষাডটকম। 

[লেখাটি প্রকাশিতব্য ‘কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা’ বইয়ের অংশ বিশেষ। লেখকের অনুমতি ছাড়া এর কোনো অংশ বা পুরোটা প্রকাশ না করার অনুরোধ থাকলো।]


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049200057983398