কক্সবাজারে হোটেল খুলছে, তবে সৈকতে যাওয়া যাবে না

কক্সবাজার প্রতিনিধি |

টানা আড়াই মাস পর ২৪ জুন শর্তসাপেক্ষে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে ভ্রমণের জন্য আসা পর্যটককে হোটেল-মোটেলের কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। যাওয়া যাবে না সমুদ্রসৈকতেও।

হোটেল মালিক, ব্যবসায়ী সংগঠন ও কর্মজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকেলে বৈঠক করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ এপ্রিল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে পর্যটকসহ লোকসমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহসহ বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো ২৪ জুন থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এগুলো খোলা রাখা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা তদারকির জন্য গঠন করা হয়েছে মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা বেঁধে দিয়েছে। নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে হোটেল, মোটেল ও কটেজ পরিচালনা করতে হবে। ৫০ শতাংশ কক্ষ খালি রাখতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে আসা লোকজনকেই কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে, ভ্রমণের জন্য আসা কাউকে কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। হোটেলসংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। তবে অতিথিদের কক্ষে খাবার সরবরাহ করা যাবে। বন্ধ থাকবে হোটেলের সুইমিং পুল। হোটেলে প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সব কক্ষে হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, সৈকতে কোনো লোকজনকে নামতে দেওয়া হবে না।

কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, শর্তসাপেক্ষে হলেও হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল; প্রশাসন তা মেনে নিয়েছে। খোলার পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০ জুন সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের জীবন-জীবিকা ও আর্থিক দৈন্যের কথা তুলে ধরে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) উপদেষ্টা মফিজুর রহমান বলেন, আড়াই মাস ধরে সৈকতে কোনো পর্যটক নেই, ফাঁকা পড়ে আছে। এতে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল বন্ধ পড়ে আছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059478282928467