প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের চূড়ান্ত ফল দ্রুত প্রকাশ করা ও শূন্যপদের বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে চাকরি প্রার্থীরা। এই দুই দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী চাকরি প্রত্যাশী আন্দোলনরে ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেনি চাকরি প্রর্থীরা।
এ সময় তারা বলছেন, কোটা বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা দুই দফা দাবি পেশ করছি যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে পূরণ করতে হবে।
দাবিগুলো হলো ১. প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকে নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ২. ৩১ জুলাই পর্যন্ত শুন্য পদসগুলোর বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আমরা ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হই। গত ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস পার হলেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও পুরুষ ২০ শতাংশ ধার্য রয়েছে যা মেধার চূড়ান্ত অবমাননা বলে আমরা মনে করি।
যেহেতু গত ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত আগের সব পরিপত্র-প্রজ্ঞাপন-আদেশ-নির্দেশ-অনুশাসন রহিত করা হয়েছে, তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়।
তাই এই নিয়োগের ফলাফল প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে ৩ দিন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।
প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা মেধাভিত্তিক। নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।