দেশের সাহিত্যাঙ্গনের অন্যতম কবি, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আল মাহমুদকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি ওঠে।
প্রখ্যাত এই কবির প্রতি রাষ্ট্রকৃত বৈষম্য নিরসনে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এই সমাবেশের আয়োজন করে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এতে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, কবি মহিবুর রহিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাধারণ সম্পাদক জিহাদ হোসেন লিটন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধসহ বাংলা সাহিত্যের একজন পরিপূর্ণ কবি ছিলেন আল মাহমুদ। বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় তার বিচরণ ছিল সৃষ্টিশীল। যিনি কাব্যগ্রন্থ সোনালী কাবিন, লোকলোকান্তর, কালের কলসসহ কালজয়ী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র হাতে তার অবদান ছিল ঈর্ষণীয়। অথচ তার মৃত্যুর পর তাকে রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অথবা স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়নি।
বক্তারা এই কবির প্রতি কৃত রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের নিরসন করে তাকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদানে রাষ্ট্রের কাছে দাবি তুলে ধরা হয়। পরে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের মৌড়াইল এলাকায় তার কবরে জাতীয় পতাকা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনসিসির পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।