দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত অনেকেই শিক্ষক পদে মনোনীত প্রতিষ্ঠানে যোগদান নিয়ে দুশচিন্তায় রয়েছেন।
বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৯ হাজারের বেশি নিবন্ধিত প্রার্থীকে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তাদেরকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কমিটি নেই বা কমিটি পদত্যাগ করেছে এবং এডহক কমিটি গঠিত হয়নি সে সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা তদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে যোগদান করতে পারেন।
তবে, এ বিষয়ে জারি করা এনটিআরসিএ নির্দেশনা বলছে, কমিটি না থাকা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এনটিআরসিএর সুপারিশ করা শিক্ষকদের সুবিধার্থে নিয়োগ পত্র জারি করবেন। তবে, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের পর শিক্ষকদের নিয়োগপত্র ভূতাপেক্ষ অনুমোদন নেবেন।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম চক্রে শিক্ষক নিয়োগের পর ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি না থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়োগপত্র জারি করা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। জটিলতা নিরসনে সে বছরের ২০ নভেম্বর এ নির্দেশনা জারি করেছিলো এনটিআরসিএ।
এতে বলা হয়েছিল, ‘যেসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নেই এবং প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগপত্র জারি করার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এনটিআরসিএর সুপারিশকৃত শিক্ষকদের যোগদানের সুবিধার্থে নিয়োগপত্র জারি করবেন। তবে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি গঠনের পর উক্ত শিক্ষকদের নিয়োগপত্র ভূতাপেক্ষ অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছিল, যেসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি নেই, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
একই নির্দেশনায় সরকারিকরণের প্রক্রিয়াধীন যেসব কলেজে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষকদের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের জাতীয়করণের জন্য পরিদর্শন প্রতিবেদনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। প্রার্থী না থাকায় ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। নিবন্ধিত প্রার্থীরা ভি-রোল ফরম পূরণ করে এনটিআরসিএতে তাদের সনদ জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ হাজার ৫৮৬ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশের সম্মতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।