সারা দেশে রোববার থেকে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করেছে সরকার। এ টিকা নিয়ে যে কোনো ধরনের গুজব প্রতিরোধে মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘করোনার প্রকোপের শুরু থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় মানবিকভাবে হাত বাড়িয়েছে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী। এখন করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, তাই এ নিয়ে যে কোনো ধরনের গুজব প্রতিরোধে সার্বিকভাবে মাঠে থাকবে ছাত্রলীগ। করোনার টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদেরও সহযোগিতা করবেন ছাত্রলীগ।’
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশ করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা এই টিকা পেয়েছি। আর এটা নিয়ে যেন কেউ কোনো গুজব ছড়াতে না পারে তার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে।’
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জাতির যে কোনো দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সংগঠনের নামই ছাত্রলীগ। করোনার সময় আমাদের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ৩১ হাজার ১৬০ জন মোট টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে টিকা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭১ জন। সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নিবন্ধিত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হয়। শুরুর দিন ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রেখেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সারা দেশে ২ হাজার ৪০০টি দল টিকা দিতে কাজ করেছে। টিকা নেওয়ার জন্য আগে থেকে নিবন্ধন করতে হয়েছিল তাদের। এ ছাড়া টিকাদানকেন্দ্রেও নিবন্ধনের সুযোগ ছিল। প্রথম দিন টিকা দেওয়ার সময় গ্রহীতাকে বলে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজের তারিখ।